ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | পূর্ব ঘটনার জের : ফের সংঘাতে চবি ছাত্রলীগ, আটক ৬

পূর্ব ঘটনার জের : ফের সংঘাতে চবি ছাত্রলীগ, আটক ৬

chittagong-university1-20190402191559

নিউজ ডেক্স : পূর্ব ঘটনার জের ধরে ফের সংঘাতে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এতে ধাওয়া পাল্টা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আটক করা হয়েছে ৬ জনকে। বিবাদমান গ্রুপ দুটি হলো শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি ও বিজয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

আটকরা হলেন, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইয়াসিন আরাফাত কাইসার, ইংরেজি বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের বেলাল হোসেন, ইতিহাস শিক্ষাবর্ষের ১৬-১৭ অমিত রায়, সিফাত উল্লাহ সরকার, খালেদ মাসুদ ও সাকিব হাসান।

সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলের মাঠে খেলতে গেলে বিজয় গ্রুপের দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আবু বক্করকে মারধর করে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল এবং সিএফসি গ্রুপ শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে তার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষ ব্যাপক ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর জীবন সাংবাদিকদের বলেন, সিএফসি গ্রুপের নেতাদের ছাত্রত্ব নাই। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের নেতা নওফেল ভাইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিক নেতাকে মুঠোফোনে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হাটহাজারি মডেল থানা পুলিশের ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এ দিকে গতকাল মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় আলাওল হলের ক্যান্টিনের পেছন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি এক নলা বন্দুক, থ্রি নট থ্রি বন্দুকের ১২৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া হলের বেশ কয়েকটি আবাসিক কক্ষ থেকে ১২টি রামদা, রড ও বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটাও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাংগীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!