ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | তিন শতাধিক নার্স পাচ্ছে চমেক হাসপাতাল, তবুও শূন্য থাকছে পদ

তিন শতাধিক নার্স পাচ্ছে চমেক হাসপাতাল, তবুও শূন্য থাকছে পদ

নিউজ ডেক্স : নতুন করে ৩ শতাধিক নার্স পাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। নতুন নিয়োগ পাওয়া এসব নার্স আগামী রোববার ১২ ডিসেম্বর হাসপাতালে যোগ দেবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সরকার সমপ্রতি ৮ হাজারের বেশি সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগ পাওয়া এসব নার্সের পদায়নও শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩২৩ জনের মতো নার্স আমাদের হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে। তারা আগামী ১২ ডিসেম্বর হাসপাতালে যোগ দেবেন। এতে করে নার্স সংকট কিছুটা হলেও দূর হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় গতি আসবে। এছাড়া সংখ্যা বাড়ায় নার্সদেরও জবাবদিহিতা বাড়বে বলে মনে করছেন হাসপাতাল পরিচালক।

এদিকে, নতুন করে ৩ শতাধিক যোগ দেয়ার পরও নার্সের পদ শূন্য থাকছে এ হাসপাতালে। চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে নার্সের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা ১ হাজার ২৪৯টি। বিপরীতে হাসপাতালে নার্স কর্মরত ছিলেন ১ হাজার ৫৪ জন। হিসেবে আরো ১৯৫টি পদ এতদিন শূন্য ছিল। তবে নতুন করে পদায়নের আগে প্রায় ১৬৮ জন নার্সকে এখান থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে বদলি করা হয়। সে হিসেবে এ হাসপাতালে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬৩ টি। এখন নতুন করে ৩২৩ জন নার্স যুক্ত হলে হাসপাতালে মোট নার্সের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ হাজার ২০৯ জনে। হিসেবে আরো ৪০টি পদ শূন্যই থাকছে।

তাছাড়া কর্মরতদের মাঝেও প্রায় অর্ধশত নার্স মাতৃকালীনসহ বিভিন্ন ধরনের ছুটিতে থাকেন। ফলে নার্সের সংকট লেগেই থাকে এ হাসপাতালে। নতুন করে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার চালু এবং করোনার টিকাদান কেন্দ্র চালুসহ হাসপাতালে সেবার আওতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নার্সের পদ সংখ্যা আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন হাসপাতালের সেবা (নার্স) তত্ত্বাবধায়ক ইনসাফি হান্না।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী- মোট ৪৪টি ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা চালু রয়েছে চমেক হাসপাতালে। এসব ওয়ার্ডে প্রশাসনিক ভাবে অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা ১৩১৩। কিন্তু প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। এই বিশাল সংখ্যক রোগীর সেবায় নার্স রয়েছে এক হাজারের কিছু কম-বেশি। এসব নার্সকে দৈনিক তিন শিফটে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফলে এক শিফটে সর্বোচ্চ তিন থেকে চারশ নার্সের দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে গোটা হাসপাতালে। এর বাইরে হাসপাতালে নতুন করে চালু করা হয়েছে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ার। যেখানে প্রতি শিফটে বেশ কিছু সংখ্যক নার্সকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এছাড়া করোনার টিকাদান বুথেও দায়িত্ব পালন করতে হয় নার্সদের। সবমিলিয়ে হাসপাতালে কর্মরত নার্সের সংখ্যা অপ্রতুল বলে মনে করেন হাসপাতাল প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা। চমেক হাসপাতালের নার্স তত্তা্ববধায়ক ইনসাফি হান্না বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী চারজন রোগীর বিপরীতে একজন নার্স থাকার কথা। কিন্তু হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডে দেড়শ-আড়াইশ রোগীর বিপরীতে নার্সের সংখ্যা এখনো সর্বোচ্চ ১০/১২ জন। যদিও নতুনরা যোগ দিলে নার্স সংকট কিছুটা হলেও দূর হবে বলে মনে করেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর।

উল্লেখ্য, নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৮ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থীকে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগ দিতে গত ২৬ অক্টোবর সুপারিশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। পিএসসির এই সুপারিশের ভিত্তিতে গত ১ ডিসেম্বর মোট ৮ হাজার ১২৮ জন প্রার্থীকে এ পদে নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিয়োগের পর গত ২ ডিসেম্বর তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। এর মধ্য থেকে ৩২৩ জন (সংখ্যা সামান্য কম-বেশিও হতে পারে) নার্সকে চমেক হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে। -আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!