নিউজ ডেক্স : গত তিন মাস ধরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমার কাছে তাকে গত ৩ মাস ধরে একটু পরিবর্তন মনে হচ্ছিল।বিভিন্ন ঘটনা এবং কর্মকাণ্ডে সেটি আমার মনে হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। বাংলানিউজ
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ডা. মুরাদ হাসান আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে আমি কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি এবং তার কিছু বক্তব্য ও ঘটনা আসলে সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন। সে অনুযায়ী ডা. মুরাদের সই করা পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়ে গেছেন তার জনসংযোগ কর্মকর্তা। এ বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুরাদ হাসান আমাকে সব সময় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সহযোগিতা করেছেন। সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং তার সুস্থতা এবং তার মঙ্গল কামনা করি।
ডা. মুরাদের ভেতরে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি আগে যে রকম ছিলেন তার থেকে একটু ভিন্ন মনে হয়েছে এটি আমার ব্যক্তিগত মতামত। এটি আমি সবিস্তারে বলতে পারবো না। কারণ এটি অনুভবের বিষয়। সেটি তো আমি প্রকাশ করতে পারবো না। তার মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি তো ডাক্তার না, তা হলে বলতে পারতাম।
তার কর্মকাণ্ডে দল বিব্রত তিন মাস থেকে তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছিলেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন তিনি বেশ কিছু বক্তব্য দিয়েছেন যেগুলো দলের সঙ্গে বা সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই দিয়েছেন। যেগুলোর কারণে আমাদেরও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সাস্প্রতিক সময়ে কিছু কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য নিয়ে সরকার ও দল বিব্রত হয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
ডা. মুরাদ তো বলেছেন প্রাধনমন্ত্রীকে জানিয়ে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার জানা নেই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন কিনা। আমি জানি না প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন। যে বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রত হয় সে ধরনের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী কখনও কারো জন্য এলাও করবেন না।