নিউজ ডেক্স : কারাগারে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মাজেদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তার পাঁচ স্বজন। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাজেদ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান বলেন, মাজেদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন।
কারাগার এলাকায় দায়িত্বরত এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটে কারাগারে প্রবেশে করেন মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, তার চাচা শ্বশুর, শ্যালকসহ পাঁচজন। সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে কারাগার থেকে বের হয়ে যান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলছেন, এটাই তাদের ‘শেষ সাক্ষাৎ’ বলে মনে করছেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে ছয় আসামি পলাতক ছিলেন তাদেরই একজন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া ক্যাপ্টেন মাজেদ। ৭২ বছর বয়সী মাজেদকে মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে গাবতলীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর আদালতের আদেশে মাজেদকে নিয়ে যাওয়া হয় কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে। এদিকে তার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থেকে আপিলের সুযোগ হারানো মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তাও খারিজ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর এখন মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। “যে কোনো দিন ফাঁসি কার্যকর করা হবে।”
স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী বলেন, মাজেদের পরিবারের পাঁচ সদস্য দেখা করে গেছেন। কখন ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।” বিডিনিউজ