কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : উখিয়া সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্র“ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে পুরনো বাংকারগুলো পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বিকালে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ওয়ান বিজিপি’র সিইও-সহ কর্মকর্তাদের মেরামত কাজ পরিদর্শন শেষে ফিরে যেতে দেখা গেছে। শুক্রবার দুই দেশের পতাকা বৈঠকের পর থেকে মিয়ানমার আবারও সেনা বৃদ্ধি শুরু করেছে। এই সেনারা প্রতিদিনই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে অবস্থান করে নিয়মিত টহল দিচ্ছে বলে শূন্য রেখায় রোহিঙ্গা বস্তিতে অবস্থিত রোহিঙ্গা নেতা আকতার কামাল জানিয়েছেন। ওই বস্তির আরেক নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, মিয়ানমার সেনারা প্রতিদিনই টহল দিচ্ছে। এছাড়া সোমবার থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় পুরনো সব বাংকার নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রিত রোহিঙ্গারা চরম আতঙ্কে আছেন এবং নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। স্থানীয় আবদুল করিম জানান, সীমান্তের আশপাশে বসবাসকারীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরইমধ্যে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে চলে গেছেন। এ বিষয়ে ঘুমধুম প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমিও রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বিষয়গুলো শুনেছি। তবে আমরা ওই দেশের কাউকে চিনি না, তাই রোহিঙ্গারা যা বলেছেন তা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’ এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, ‘ওই দেশে কী হচ্ছে তা আমরা জানি না। এগুলো সবই তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে আপনাদের মতো আমিও বিষয়টি শুনেছি। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার সেনারা পুরোনো বাংকার গুলো নতুন করে মেরামত করার এবং সেনাবাহিনীও বিজিপি সীমান্ত ঘেষে টহল জোরদার করায় শূন্য রেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।