ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বিশ্বকাপ আয়োজনে ৪০০-৫০০ শ্রমিক মারা গেছে, স্বীকার করল কাতার

বিশ্বকাপ আয়োজনে ৪০০-৫০০ শ্রমিক মারা গেছে, স্বীকার করল কাতার

আন্তর্জাতিক ডেক্স : কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করলেন বিশ্বের অন্যতম বড় এ ক্রীড়া আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি। 

সিএনএন মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে লিখেছে, এর আগে কাতারের সরকারি কর্মকর্তারা প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর যে হিসাব জানিয়েছিলেন, এই সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি।

<div class="paragraphs"><p>কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে এ আয়োজনের বিভিন্ন প্রকল্পে মারা যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের স্মরণে জার্মানিতে এই ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। </p></div>

কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে এ আয়োজনের বিভিন্ন প্রকল্পে মারা যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের স্মরণে জার্মানিতে এই ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর ওই সংখ্যা বলেন আল-থাওয়াদি। সোমবার টকটিভিতে ওই সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়।

এর আগে নভেম্বরে সিএনএনের প্রশ্নের জবাবে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় তিন জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন।

বিশ্বকাপ আয়োজন উপলক্ষে কাতারে কয়েক লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের বেশিরভাগই মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সেখানে কাজ করছেন।

<div class="paragraphs"><p>কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি। </p></div>

কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি। ছবি: রয়টার্স

গত ২০ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনও স্টেডিয়ামে বিভিন্ন স্টলে কাজ করতে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা সারাদিন কড়া রোদে অপেক্ষায় ছিলেন খাবার, পানি ও শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ ছাড়াই।

সেদিন নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০ জনের বেশি শ্রমিককে উদ্বোধনী ম্যাচের সময় বিভিন্ন স্টলে কাজ কারনোর জন্য ভাড়া করা হয়। ম্যাচ শুরুর আগে সকাল থেকে তারা সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন এবং জানতেন না কি ধরনের কাজ করতে হবে। এই অপেক্ষায় থাকার সময় তারা কোনো খাবার ও পানি পাননি; শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগও তাদের ছিল না।

কাতারসহ পার‌স্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করে আসছে। যদিও কাতার দাবি করেছে যে তারা তাদের শ্রমআইন সংস্কার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!