ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়া ইউএনও’র আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটার্স

লোহাগাড়া ইউএনও’র আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটার্স

371

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আসলাম গত ২১ ফেব্রুয়ারী তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে “ইউএনও হিসেবে আমার যত দোষ” শিরোনামে এক আবেগঘন স্ট্যাটার্স দিয়েছেন। স্ট্যাটার্সে তিনি ১৮টি কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

ইউএনও হিসেবে আমার যত দোষ

চর্যাপদের একটি বিখ্যাত লাইন, আপনা মাংস হরিণা বৈরী। হরিণের শত্রু বাঘ নয়, নিজের মাংসই হরিণের শত্রু। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে প্রতিদিন অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রায়শই মোবাইল কোর্ট, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন, জাতীয় দিবস পালন, র‍্যালী, প্রটোকল, সভা সমাবেশ সহ নানাবিধ রুটিন কাজ করার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সাথে প্রতিনিয়ত সমন্বয় করতে হয়। কখনো নরম, কখনো গরম কিংবা কখনো চরমে গিয়ে হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাই। এসব করতে গিয়ে কারো পক্ষে গেলে আমি হয়ে উঠি শতভাগ হালাল, ভালো মানুষ; বিপক্ষে গেলে হয়ে উঠি হারাম, দুর্নীতিবাজ কিংবা আরো ভয়ংকর। চতুর্মাত্রিক চাপ সামলে সামনে এগিয়ে যেতে হয়, আর সময়ের সাথে পাল্লা বাড়ে বিরাগভাজন হওয়া মানুষের সংখ্যা। জানি চেয়ারে থাকলে চাপ আসবে, অপবাদ জুটবে। নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের প্রিয়জন হয়ে প্রকোষ্ঠে বন্দী নয়, লোহাগাড়ায় যতদিন আছি এভাবে আমজনতার প্রয়োজনে পাশে থেকে বাড়াতে চাই আমার দোষের তালিকা।

১. গৃহ নির্মাণে আমার দোষঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ঘরহীনকে ঘর দেওয়া প্রকল্পটি ছিলো ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের। আমরা ইউএনওরা কেউ এই কাজ প্রথমে করতে চাইনি। কিন্তু অল্প টাকায় একটা টেকসই ঘর দেওয়ার অভিপ্রায়ে সরকার বাহাদুর এই কাজ আমাদের দেন। অনেকে কমিশন দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কাজটি কর‍তে চেয়েছিল কিন্তু আমি রাজি হইনি। নির্দিষ্ট সময়ে ঘরের কাজ শুরু করতে না পারায় কর্তৃপক্ষের শোকজের জবাব দিতে হয়। এত অল্প বাজেটে দুই রুমের ঘর এবং স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট দেওয়া আসলেই কঠিন কাজ ছিলো। তারপরও মাননীয় বিশেষ উদ্যোগ বলে আমরা ইউএনওরা কাজ শুরু করি। একটা ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা। এই এক লক্ষ টাকা কোথায় কোথায় খরচ করা হয়েছে তার একটা বিবরণ নিন্মে দেওয়া হলো।
.শ্রমিক মজুরী ১২০০০ টাকা,
.পরিবহন ৯০০০ টাকা,
.টিন ৭ বান×৪২৯৪- ৩০,০৫৮
.দরজা সীট ১২ফুট×৮০-৯৬০
.জানালা সীট ৫ফুট×৬৫-৩২৫
.বিজিং ১০ পিছ×১৫০-১৫০০
.সিমেন্ট ১৫ বস্তা×৪৮০-৭২০০
.বালু ১০. ১২ ঘনফুট ×৪৫০-৪৫৫৪
.ইট ৪৫০×৮. ৫০-৩৮২৫
.কংকর ৬. ৪৫×২৯৪০-১৮৭০০
.রড ২০ কেজি×৫৫-১১০০
.কাঠ ৮ ঘনফুট ×৫৫০-৪৪০০
.সাইনবোর্ড -১৫০০
.পলিথিন- ৫০০
.দরজা নট, বল্টু, পেরেক – ৩১২২
কাঠের পেরেক ৭ কেজি× ১৮০-১২৫৬
লোহাগাড়ায় নয় ইউনিয়নে মোট ১৬২ টি ঘর দেওয়া হয়। লোহাগাড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্গম যাতায়াত এবং নির্মাণ শ্রমিকের সংকট সত্ত্বেও সুবিধাভোগীদের যথাসময়ে ঘর নির্মাণ করে দেই। গত মঙ্গলবার ঘর নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচরে এসেছে। মজার ব্যপার হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা বজেন্দ্রের যে ঘরের কথা নিউজে বলা হয়েছে সেই ঘর ১৬২টি ঘরের তালিকায় নাই। ঘর বিলি করার পর যখন জানতে পারি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ঘর নাই তখন নিজস্ব উদ্যোগে ওনাকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়। প্রকল্পের বাইরে বেশি কাজ করে সংবাদের শিরোনাম হলাম পুকুরচুরির খ্যাতি পেলাম।

২. মাছ লুট নিয়ে আমার দোষ:
কিছুদিন আগে আধুনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব মিয়া জানান সরকারি খাস হিসেবে সহকারী কমিশনার ভূমির জিম্মায় থাকা খানহাট দীঘিতে মাছের মড়ক এসেছে। খানহাট মসজিদের মুসল্লীরা এই পুকুরে ওজু করেন। মাছ মরে গেলে গন্ধ ছড়াবে এবং মুসল্লিদের অজু করতে সমস্যা হবে। বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলি এবং তিনি পরামর্শ দেন পুকুরে জাল দিতে৷ তারই পরামর্শে পুকুরে জাল দেওয়া হয়। জাল দিয়ে প্রাপ্ত মাছ লোহাগাড়ার আটটি এতিমখানায় দেই, খানহাট মসজিদে অবস্থান করা তাবলীগ ভাইদের একটা দেই, বাকি অংশ মাছ ধরতে আসা জেলেদের মজুরী বাবদ দেই। দুইদিন পরে সেই পুকুরে ছোট বড় ২০০০ মাছের পোনা অবমুক্ত করি। সরকারি খাসজমি খানহাট দীঘিকে গিলে ফেলতে তৎপর গোষ্ঠী পত্রিকায় সংবাদ ছাপান আমি এক লাখ টাকার মাছ লুট করেছি। আমি প্রতিমাসে ষাট হাজার টাকা বেতন উঠাই। বেতন এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও বিবিধ সম্মানী মিলিয়ে মাসে সত্তর হাজার টাকা মতো নগদ পাই। এই বেতন পাওয়া একজনের অন্তত মাছ লুট করা লাগে না। পুকুরের ছোট মাছ বাঁচাতে এবং মুসল্লিদের দূষণমুক্ত পরিবেশে অজু করা নিশ্চিত করতে আমি মাছ লুটের অভিযুক্ত হয়েছি এবং দোষের পরিমাণ বাড়িয়েছি।

৩. মিরিখিলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে আমার দোষঃ
চুনতির একটি প্রত্যন্ত গ্রাম মিরিখিল। উঁচুনিচু টিলা নিয়ে গঠিত গ্রামটি। দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, জিডিপি বেড়েছে কিন্তু মিরিখিলের বিশাল গ্রামে কোন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সাত-আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের কিছুদিন আগেও দুরের স্কুলে যাওয়া লাগত। এভাবে স্কুলে যেতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অংকুরেই বিনষ্ট হয়েছে। উক্ত গ্রামের দুর্দশার কথা শুনে স্থানীয়দের সাথে একটা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আনন্দের কথা এই বছর জানুয়ারির এক তারিখ থেকে পুরোদমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একজন শিক্ষকের বেতন প্রতিমাসের আমার পকেট থেকে দেই এবং অবশ্যই এটাও একটা দোষের কাজ করেছি।

৪. স্বেচ্ছা শ্রমে টংকাবতী খাল খনন নিয়ে আমার দোষঃ
চরম্বা ইউনিয়নের রাজঘাটার মাঝের পাড়ার প্রায় ৬শ পরিবারের রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছিল টংকাবতী নদীর রুদ্রমূর্তির কারণে। গত ২০ বছর ধরে ভাঙ্গনের শিকার মানুষগুলো দেখে আসছ টংকাবতীর এমন রোষানল। গত বর্ষায় টংকাবতীর রুদ্রমূর্তি থামাতে স্থানীয় জনগণ এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণ করি এবং মাঝেরপাড়া বাসীর পাশে দাঁড়াই। সরকারি কোন টাকা খরচ না করে নিশ্চয়ই আমি আরো একটা দোষের কাজ করেছি।

৬. নিজস্ব উদ্যোগে আমিনশিপ প্রশিক্ষণ দিয়ে আমার দোষঃ
ইউএনওগিরি করতে গিয়ে দেখেছি অধিকাংশ অপরাধের জননী হলো জমিজামা সংক্রান্ত বিরোধ। জমিজামার মাপজোখ না জানায় সাধারণ মানুষকে দালালদের উপর ভরসা করতে হয় এবং প্রায়শই জনগণ প্রতারিত হয়। ভাবলাম কিছু শিক্ষিত মানুষকে যদি জমিজামা মাপজোখের প্রশিক্ষণ দেই, বন্টননামা শেখাই। তাহলে পরে তাদের দ্বারা কিছু মানুষ উপকৃত হবে, কিছু ইনসাফ পাবে। যথা ভাবনা তথা কর্ম। আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ জনাব ওসমান গনি সাহেবের সহযোগিতা নিয়ে আলহাজ্জ্ব মোস্তাফিজুর রহমান কলেজে ১৫ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনের আয়োজন করি। লোহাগাড়ার শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং শিক্ষিত বেকার মিলিয়ে প্রায় একশো পনের জনকে এই প্রশিক্ষণ দেই। এমন প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের আর কোন উপজেলা হয়েছে কিনা জানা নেই এবং এমন দোষও আর কেউ করেছে কিনা জানা নেই।

৭. প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছাদ বাগান করা নিয়ে আমার দোষঃ
শিল্পায়নের দ্রুত বিকাশের ফলে আমাদের এই পৃথিবী দিনকে দিন উষ্ণ হয়ে উঠছে, তপ্ত হয়ে উঠছে আমাদের চারপাশ। শিল্পায়নের এই বেপরোয়া চাহিদা মিটাতে গিয়ে মানুষ উজাড় করে ফেলছে বন, পাহাড় সহ সবুজ। আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে হলে আমাদের সবুজের বদলে সবুজ নিশ্চিত করতে হবে। বিবেকের দহন থেকে, সবুজের প্রতি মায়া থেকে লোহাগাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাগান করার জন্য উৎসাহ দেই, নির্দেশনা দেই। আর এভাবে বাড়তে থাকে আমার দোষের সংখ্যা।

৯. ফুল সংবর্ধনা বর্জন করা সংক্রান্ত দোষঃ
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে লোহাগাড়ায় কোন বিষয়টা আপনার ভালো লেগেছে? বিনাবাক্য ব্যায়ে বলে দিব, এই অঞ্চলের মানুষের অতিথিপরায়ণতা। ইউএনও হিসেবে প্রতিদিন কোন না কোন অনুষ্ঠানে যেতে হয় এবং ফুলের তোড়া দিয়ে আমাকে বরণ করে নেওয়া হয়। ভাবলাম এভাবে না করে যদি অতিথিকে দিয়ে ফুলের গাছের চার রোপণ করা হয় ? অতিথিকে বরণও করা হলো আবার সাথে একটা গাছের চারাও রোপণ হয়ে গেল। এভাবে ভাবি বলেই হয়ত আমাদের দোষের খাতা দীর্ঘ হয়।

১০. অসহায় ছাত্রদের লেখাপড়ার খরচ দেয়াঃ
অনেক অসহায় শিক্ষার্থীর বাবা কিংবা মা আমার কাছে আসেন সাহায্যের জন্য। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের পাতলা ডাল খেয়ে বড় হওয়া একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বুঝি অর্থের অভাবে পড়তে না পারলে কত কষ্ট হয়! কেউ এমন সাহায্যের জন্য আসলে আমি না করতে পারি না এবং তাতেই বাড়ে আমার দোষের পরিমাণ।

১১. ফ্রি মেডিকেল ও রক্ত দান কর্মসূচিঃ
বিভিন্ন জাতীয় দিবসে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে উদ্বুদ্ধ করে ফ্রি মেডিকেল ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করাই। থেলাসেমিয়া, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার ব্যবস্থা করি এবং দোষ বাড়াই।

১২. অসহায় বৃদ্ধের ঘরের ছাউনি স্থাপনঃ
পুটিবিলায় একদিন প্রকল্পে দেখতে গেলে মাঝবয়সী এক মহিলা আমাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা না বুঝলেও অসহায় মানুষের ভাষা বুঝি। পৃথিবীর সকল দুখী মানুষের ভাষা যে এক হয়। ঝড়ে তার ঘরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি। তাৎক্ষনিক নিজে এবং উপস্থিত অন্যদের কাছ থেকে নিয়ে মহিলার ছাউনির ব্যবস্থা করে দেই। এভাবে আমি ভিলেন হয়ে উঠি।

১৩. উপজেলা পরিস্কার ও সৌন্দর্য্য বর্ধন করে আমার দোষঃ
লোহাগাড়ায় যখন আসি পুরো উপজেলা কমপ্লেক্স জুড়ে ছিলো ঝোপঝাড়ে ভরা। কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের দিনের বেলায়ও মশারি টাঙ্গিয়ে থাকতে হতো। পুরো কমপ্লেক্স পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করি এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ লই এবং বাড়তে থাকে আমার দোষের সংখ্যা।

১৪. বেদে পল্লীতে কম্বল বিতরণঃ
শীতকালে গরীব-দুখী অসহায়দের জন্য সরকারিভাবে কিছু কম্বল আসে। নিয়ম হচ্ছে অফিসে সেই কম্বল বিতরণ করা। আমার যেহেতু দোষ করা স্বভাব তাই অফিস সময়ের বাইরে মাঝরাতে কম্বল দিয়ে আসি পদুয়ার বেদে পল্লীতে।

১৫. চরম্বা আশ্রয়ন প্রকল্পে মসজিদ নির্মাণঃ
স্থানীয় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে চরম্বা আশ্রয়ন প্রকল্পে একটা মসজিদ নির্মাণ করি অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মসজিদের অভাবের কথা বিবেচনা করে। এভাবে আমার দোষ বাড়ে।

১৬ মাসে একদিন এতিমখানার শিশুদের সাথে খাদ্য গ্রহণঃ
মাসে একদিন লোহাগাড়ার যেকোন এতিমখানার ছোট শিশুদের সাথে খাবার খেতে যাই এবং সেইবেলার খাবারের টাকা আমি দিয়ে দোষ বাড়িয়ে আসি।

১৭. শহীদ মিনার উদ্ধার করেই দোষঃ
বটতলী পোস্ট অফিসের সামনে সরকারি জায়গায় একটা শহীদ মিনার আছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় সেটা ময়লার ভাগাড় এবং অকেজো যানবাহনের ডাম্পিং স্টেশনে পরিনত হয়েছিল। সেই স্থান গতকাল বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটিকে নিয়ে পরিস্কার করে বাগান করার উদ্যোগ লই এবং নিঃসন্দেহে দোষের খাতার নতুন পৃষ্ঠা উল্টিয়ে আসি।

১৮. অনাথ আশ্রমে আব্বার টাকা দিয়ে দোষ বৃদ্ধিঃ
সম্প্রতি লোহাগাড়ার একটি অনাথালয়ে এক লক্ষ টাকা আমার বৃদ্ধ বাবার কাছ থেকে নিয়ে দেই এবং উনিশ জনকে এক লক্ষ করে দিতে উদ্বুদ্ধ করি। এটাও নিশ্চয়ই একটা দোষের কাজ হিসেবে মুল্যায়ন করা হবে।

আমার এমন অনেক দোষের গল্প আছে। যারা লিখছেন ইউএনও মাছ লুটেরা, দুর্নীতিবাজ; তাদের জ্ঞাতার্থে আর্জি আপনারা লিখতে থাকুন। লোহাগাড়ায় এমন দোষ করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আপনাদের লেখনীর ক্ষুরধার দিয়ে আমাকে বদলি করার ব্যাবস্থা করে দেন। লোহাগাড়ায় আর কোন দোষ বৃদ্ধি নয়, অন্য কোন উপজেলায় এমন আরো দোষ করতে চাই।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!