ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ’ দেখছেন ফখরুল

‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ’ দেখছেন ফখরুল

নিউজ ডেক্স : আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের সংঘাতময় পরিস্থিতি ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেলে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আজ দেখুন, আওয়ামী লীগের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। এজন্য এখন নির্বাচিত প্রতিনিধি বলতে তারা যা বোঝাচ্ছে, সেই ধরনের লোকগুলো আওয়ামী লীগের, তাদের সঙ্গে প্রশাসনের সম্মুখযুদ্ধ শুরু হয়েছে।’

‘শুধু এক জায়গা না, শুধু বরিশাল না। ইতোপূর্বে অনেক জায়গায় আমরা দেখেছি, প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যারা দায়িত্বে আছেন তাদের একটা সংঘর্ষ হচ্ছে, সংঘাত হচ্ছে। এটা একটা লক্ষণ, বাংলাদেশ বর্তমানে রাষ্ট্র হিসেবে যে ব্যর্থ হচ্ছে তার লক্ষণ এটা।’

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আজ যেটা প্রয়োজন, আমাদের নেতা যিনি নির্বাসিত অবস্থায় আমাদের থেকে বহু দূরে অবস্থান করছেন, আমাদের নেত্রী যিনি এখনও বন্দি তাকে মুক্ত করা, নেতাকে দেশে ফিরিয়ে আনা, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা, সেই লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সবাইকে হতে হবে, দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের একটা সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এই দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাদের বাধ্য করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন হতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে।’

তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, তাদের ব্যর্থতার কারণে এখানে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। আজ অর্থনীতি নিচের দিকে যাচ্ছে। মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না, মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে ও অর্থনীতি ধীরে ধীরে আরও রসাতলের দিকে যাচ্ছে।’

‘বর্তমান সরকার কোনো গণতান্ত্রিক নর্মসে (নিয়ম-নীতি) বিশ্বাস করে না, তারা মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে না। শুধু তারা নিজেরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের মাথার ওপর চেপে বসে আছে ও তাদের লক্ষ্য ১৯৭৫ সালে সফল না হওয়া একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।’

ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের কর্মময় জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।

‘ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদ’র উদ্যোগে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

স্মৃতি সংসদের সভাপতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খানের পরিচালনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, স্মৃতি সংসদের এম সিরাজুল হক, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সুলতান মাহমুদ বাবু, নিলোফার চৌধুরী মনি, ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, ওয়ারেস আলী মামুন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এম তোজাম্মেল হোসেন, শামসুজ্জামান মেহেদী ও প্রয়াত ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের জামাতা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভার্চুয়াল আলোচনায় ব্যারিস্টার সালাম তালুকদারের সহধর্মিণী মাহমুদা সালাম, মেয়ে সালিমা বেগমসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!