ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দোহাজারীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, ভাংচুর ও লুটপাট, গ্রেফতার ৯

দোহাজারীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, ভাংচুর ও লুটপাট, গ্রেফতার ৯

Chandonais_23-10-2018

নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসদরে দু’পক্ষের মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে গুলি ও ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। দোহাজারী  বার্মা কলোনি ও স্থানীয়দের মধ্যে গত ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত টানা এ সংঘর্ষ হয়।

এসময় হামলাকারীরা ফুটপাতের কমপক্ষে ৫০টি দোকানে ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় দু’ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ভোগে পড়ে দূরপাল্লার শত শত যাত্রী ও পথচারী। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের সময় বাকি আহতরা হলেন মোহাম্মদ শাকিব (১৯), আনোয়ার হোসেন (৩০), মোহাম্মদ আসিফ (১৮), মোহাম্মদ রফিকুল (২০), মোহাম্মদ আরিফ (১৮), মোহাম্মদ শারজান, নুর আলী (২৫), মো. ফরহাদ (২২), মো. আলমগীর (২৫), নুরু (২৩), পারভেজ (১৮), মুন্না (২৫), খোকন (২০), শাকিল (১৮), লাকি (৩৫), পিংকি (৩০), লিটন (৩৫), হাসিনা আকতার (২৫), মুন্নি আকতার (৩০) এবং দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার বড়–য়া (৪৪), এএসআই আতিকুর রহমান (৩৭), কনস্টেবল সালাউদ্দীন (২৩) ও নুরে রহমান (৩৭)।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে দোহাজরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে পরে চন্দনাইশ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ২৪/২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফরকৃতরা হলো উল্লাহপাড়ার আবদুল শুক্কুরের পুত্র নাজিম উদ্দীন (৩০), ইসলামের পালক পুত্র শহিদুল ইসলাম সোহাগ (২২), হাবিবুর রহমানের পুত্র বেলাল উদ্দীন রানা (২২), বার্মা কলোনির মৃত আজিজের পুত্র আবদুর রহিম (৪০), মো. ইমতিয়াজের পুত্র মোহাম্মদ সুমন (২০), মৃত নুর হোসেনের পুত্র করিমুল¬াহ (২০), ইসমাইলের পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ (১৮), মনির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ জিকু (২০), আবুল কাশেমের পুত্র আবদুল (২২)।

জানা গেছে, বার্মা কলোনি এলাকায় একটি দোকানে চুরির জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবরও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময়ও ১০ জন আহত হয়। এরপর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। যে কোন সময় আবারও ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেশব চক্রবর্ত্তী বলেন, পরিরিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৪/২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সূত্র : সিভয়েস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!