নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশ ও বিএনপি সংঘর্ষে এএসপি (সার্কেল), ওসিসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা জানিয়েছেন, তাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ সংঘর্ষে ঘটে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে অর্তকিত পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ সময় এএসপি (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ন কবির, ওসি মো. কামাল উদ্দিন, ওসি তদন্ত এস এম আরিফুর ইসলাম, এস আই নজরুল ইসলামসহ আরও ১১ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
জানা যায়, বিএনপি বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। ওই সমাবেশ পুকুরিয়া ইউনিয়নে করার কথা ছিল। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশের খবর জেনে শুক্রবার সকাল থেকে পুরো বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ইউনিয়নভিত্তিক নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থানে সভা সমাবেশের ডাক দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখে। পরে বিএনপি সমাবেশ আয়োজন করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী পশ্চিম গুনাগরীর বাড়িতে।
আরও জানা যায়, বিকাল ৪টায় ওই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাড়ি হয়ে প্রধান সড়কে উঠার এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। ওই সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠি সোটা ছিল। এই সংঘর্ষ বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পুলিশ রবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দক্ষিণ জেলা মহিলাদলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী বলেন, মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাবার পথে পুলিশ বাধা দিলে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। অহেতুক পুলিশের ওপর হামলা করেনি। আমি অনেক চেষ্টা করেও সমাবেশের দিকে যেতে পারিনি। -আজাদী অনলাইন