নিউজ ডেক্স : ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তলবে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আদালতে হাজির হলে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ সারোয়ার আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
গত ১৮ নভেম্বর সারোয়ার আলমকে তলব করেন হাইকোর্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার পর চার মাস পার হলেও আদেশের কপি না দেয়ার ব্যাখ্যা দিতে তাকে তলব করা হয়। সকালে তলব আদেশে হাজির হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আদালতের কাছে এ বিষয়ে তার যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে ব্যাখ্যা করেন। ওই রায়ের কপি দিতে বিলম্বের কারণ হিসেবে জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবের বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরেন। তিনি আদালতে বলেন, একদিনে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে এসে রায় লিখতে হয়। এসময় আদেশের কপি না দেয়ার জন্য তিনি আদালতে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাকে ক্ষমা করে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন। একই সঙ্গে, এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মিজান মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকারক কারখানার ব্যবস্থাপক মিজান। পরে ওই সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য আদেশের কপি চান। কিন্তু সাজা দেয়ার চার মাস পরও আদেশের কপি দেয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মিজান মিয়া গত ১৭ নভেম্বর রিটটি করেন।