ব্রেকিং নিউজ
Home | উন্মুক্ত পাতা | ছবি নিয়ে যতো কথা : প্রসঙ্গ ধর্ষক মাবুদ

ছবি নিয়ে যতো কথা : প্রসঙ্গ ধর্ষক মাবুদ

576

মারুফ খান : গতো চার মাস যাবত লোহাগাড়া উপজেলা সদরের দরবেশহাট ফকির পাড়ায় নিজ কন্যা সন্তানকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পাষন্ড পিতার বিরুদ্ধে। কন্যা নিজেই পিতা কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি জানা জানি হবার পর ধর্ষক আবদুল মাবুদ গা ঢাকা দিয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মাধ্যম ও কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত লোহাগাড়াবাসীর মাঝে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ। বিষয়টি চট্টগ্রাম- ১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী ও পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। তাঁরা লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহান পিপিএম (বার)’র কে ধর্ষক আবদুল মাবুদকে গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ধর্ষক আবদুল মাবুদকে ধরিয়ে দিতে “জরুরী বিজ্ঞপ্তি” প্রকাশ করেছেন লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ।

এদিকে স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ জহির উদ্দিনের সাথে ধর্ষক আবদুল মাবুদের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মূলতঃ নেতা-নেত্রী ও তারকাদের কাছে ফেলে যে কেউ ক্যামেরাবন্দী হতে চান। এ যাবত ক্যামেরাবন্দী হতে কেউ নিষেধও করেননি। এটাই স্বাভাবিক। তার মানে এই নই যে, নেতা-নেত্রী ও তারকাদের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ধর্ষক আবদুল মাবুদও তেমনি স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়কের সাথে ক্যামেরাবন্দী হয়েছে তার মানে এই নই, ধর্ষকের সাথে তাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ধর্ষক আবদুল মাবুদ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কিংবা অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত নেই বলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিশ্চিত করেছেন। মূলতঃ ধর্ষক একজন অপরাধী। সে নেক্কারজনক ও ঘৃণিত কাজ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবী জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন মহল থেকে।

আজ ৭ অক্টোবর সকালে লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশনে “লোহাগাড়া সর্বস্তরের জনসাধারণ”র ব্যানারে পাষন্ড পিতা কর্তৃক কন্যা ধর্ষক আবদুল মাবুদকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহান পিপিএম (বার) সহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, চলচিত্র নায়ক ফেরদৌসের সাথে জঙ্গি নিবরাস, সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথের বগুড়ার তুফান সরকার, দেশের নামদামী তারকাদের সাথে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমদের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। এ নিয়ে চলছিল ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। অনেকে ধারণা করছিল ছবি আছে মানে তাদের সাথে গভীর সম্পর্কও রয়েছে। এটা ভুল ধারণা। মূলতঃ নেতা-নেত্রী ও তারকাদের সাথে অনেকে ক্যামেরাবন্দী হয়। হয়েছে। হবে।

অপরাধীর সাথে ছবি আছে বলে অন্যকেও অপরাধী বা অপরাধীর মদদদাতা ভাবার কোন অবকাশ নেই। এ নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করে। শুধুমাত্র অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলোন। অপরাধকে না বলুন। অপরাধীকে আইনের হাতে তুলে দিতে সহযোগিতা করুন। এমনটাই কামনা করছি।

লেখক : প্রকাশক, lohagaranews24.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!