এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার বটতলী মোটর ষ্টেশনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা সড়কের দু’পাশে ফুটপাত দখল করে প্রভাবশালীরা রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচেছন। তাদের দৌরাত্মে এ সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। ফলে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, ফুটপাতের উপর অবৈধ মাইক্রো-হাইয়েচ ষ্ট্যান্ড, পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা, ফলমূল, মনোহরি মালমাল, মুরগীর দোকান, অবৈধ মাংসের দোকান, তৈরী-তরকারীর বাজার বসানো হয়। এসব দোকান থেকে রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় চিহ্নিত মহল প্রতিদিন ব্যাপক চাঁদাবাজী করে বলে অভিযোগে প্রকাশ। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় হয় বলে জানা গেছে।
সূত্রে প্রকাশ, পদুয়া ও কেরানীহাট হতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা লোহাগাড়ার একটি হোটেলের সামনে প্রতিদিন ফুটপাতের উপর বসে থাকে। এসব সিএনজি থেকে নির্দিষ্টহারে চাঁদা আদায় করা হয়। একটি পেট্রোল পাম্পের পাশে মাইক্রো-হাইচের ষ্ট্যান্ড রয়েছে। গাড়িগুলো আড়াআড়িভাবে ফুটপাত দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। পথচারীদের সাথে প্রতিদিন বাকবিতন্ডা হয়। নির্দিষ্ট হারে এসব যানবাহনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। হচ্ছে। রাস্তার উপরে ইটশুড়কী, লোহা লক্করের স্তুপ রয়েছে। সেখানেও চাঁদাবাজী বলে সমানে। পুরাতন কাপড় ও ফলের দোকানে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। লোহাগাড়া কাঁচা বাজারের সামনে মুরগীর দোকান বসিয়ে ফুটপাতে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। এসব দোকানের সামনে মুরগি ড্রেসিং’র মেশিন বসানো হয়েছে। মেশিনের নির্গত বর্জ্য ও নাড়িভুড়ির দূর্গন্ধে পথচারীরা নাকাল হচ্ছে। মাংসের দোকানের সামনে মাংস কাটা হয়।
ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা ত্রিমুখী চাঁদা দিয়ে থাকেন। প্রশাসনের নামে রাজনৈতিক কর্মীরা একদফা চাঁদা আদায় করেন। রাস্তায় বসা স্থায়ী দোকানদারকে তাদের দৈনিক চাঁদা দিতে হয়। আর লোহাগাড়া বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটির নামে নির্দিষ্ট লোক এসে টাকা নিয়ে যায়। সাধারণ মানুষরা যাতে সুবিধা পায় সে জন্য তাদের দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
ভূক্তভোগীরা জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্ধারিত ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন।