নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের ১৯২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২১টি ছাড়া অবশিষ্ট ১৭১ ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এই ১৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রথম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য সন্দ্বীপ উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনার কারনে তিন দফা এই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় পূর্বের তফসিলে যে কোনো সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, বাঁশখালীর ১৪টি, লোহাগাড়ার ৩টি, বোয়ালখালীর ১টি এবং ফটিকছড়ির ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের এখনো মেয়াদ পূর্ণ হয়নি। অবশিষ্ট সব ইউনিয়নের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। -আজাদী
এই সব ইউনিয়ন পরিষদে চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও উপনির্বাচন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ৮৪তম কমিশন বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। সচিব মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার বলেন, সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নের মধ্যে আমরা মাত্র ২০৪টিতে ভোট গ্রহণের আয়োজন করতে পেরেছি। কমিশন সভায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪ হাজারের মতো ইউনিয়ন, নারারণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, কুমিল্লা-৭ শূন্য আসনে উপনির্বাচন, জেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কমিশন সভায় কোনটার নির্বাচন কবে দেয়া হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেয়া নাগরিকদের এনআইডি দেয়ার বিষয়ে তিনি জানান, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিতে এই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে গত ৩ জুন ভোটের তারিখ পুননির্ধারণ করে ২১ জুন করা হয়। তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। তবে এর আগে গত ২১ জুন বাকি ২০৪টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। পরের নির্বাচনগুলো স্থগিত করা হয়।
গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপে সন্দ্বীপের ১৩টি এবং কঙবাজারের ১৫ ইউনিয়ন পরিষদসহ সারাদেশের ৩৭১টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে গত ৩ জুন পুরনায় ভোটের তারিখ পুননির্ধারণ করে ২১ জুন করা হয়। করোনার কারনে ৬ জুন আবারো এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়।