পাঞ্জাবি আর ঘনকালো কোট
বুলেট ঝরায়নি রক্ত তোমার
ঝরেছে অজস্র তারা
ওরা তো জানেনা মারতে এসে
ওরাই পড়েছে মারা!
শেখাওনি কভু গোলামি তুমি
রচে গেছো বীরগাঁথা
বাঁচার মত বাঁচতে দিয়েছো
উঁচু করে দিয়ে মাথা।
নীরবে সয়েছো যাতনা যতো
দাওনি আঁচড় লাগাতে
পৃথিবীর বুকে পতাকা দিয়েছো
চেতনাতে প্রেম জাগাতে।
আগলে রেখেছো ছায়ার মায়ায়
যাওনি একাকি করে
তোমার তরে শপথের মালা
এখনো রেখেছি ধরে।
পাঞ্জাবি আর ঘনকালো কোট
পরিচিত পাইপ মুখে
ভুলিনি আমরা রেখেছি স্মরণে
প্রতিটি সুখেও দুখে।
ছড়িয়ে রয়েছো স্বদেশ জুড়ে
ভোলাবে তোমায় কারা
ওরা তো জানেনা মারতে এসে
ওরাই পড়েছে মারা!

বীজপত্র
অন্তরের গভীরে দৃষ্টিপাত করো, দেখবে
লাল-নীল পাথরের বসবাস
পাহাড়ের কান্নায় ধুতে যাচ্ছে তাদের বুকের সব রঙ,
প্রোথিত আছে সারি সারি গুল্ম, বৃক্ষরাজি
এলোমেলো উপড়ানো রয়েছে কিছু সমূলে!
আরো গভীরে যাও – দেখতে পাবে
টকটকে লাল রক্তগোলাপের স্নিগ্ধকর ঝাড়
আগাছার প্রচুরতা সঠিক বাড়তে দিচ্ছেনা তাদের,
বিষণ্ণা নীল নদীর বুকে অস্তগামী সূর্যের লালিমা
মীনের চোখের মতোন পলকহীন শীতলা রাত!
গভীর হতে গভীরে নামো – দেখবে
জাগ্রত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ জেগে আছে
রক্তক্ষরণের উদগীরণে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ
প্রাচীন নগরীর ধ্বংসস্তূপের মতোন ক্ষতের মাঝে
মাটি ফুঁড়ে সদ্য ওঠা জীবনের কাছে দায়বদ্ধ বীজপত্র।।
বর্ষা বিদায়
তুমি চলে যাও বর্ষা
আমার আছে ভাদরের বৃষ্টি
কদমও নিয়ে যেও সাথে
কাশফুলেই ভরাবো আজ দৃষ্টি!
উথালপাতাল বর্ষা না হোক
আকাশে থাক মেঘ -কারুকাজ,
মেঘমল্লার না হোক
ঝুমুর, ঠুমরী খুব চলুক আজ!
তুমি ফিরে যেও বর্ষা
আমার আছে ভীষণ খেয়ালি শরৎ
নদী ভরভর জল নিয়ে যাও সাথে
পাল তুলেছে আজ আমার জগৎ!