ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিচার শুরুর আদেশ

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিচার শুরুর আদেশ

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছরের মাথায় আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালত এই আদেশ দেয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি আরও বলেন, “২৯ জনকে অভিযুক্ত করে দেওয়া অভিযোগপত্রটি আদালত গ্রহণ করে বিচারকাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। এখন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কাজ শুরু হবে। বিচারক আদালতের কার্যক্রম শেষে বিচার শুরুর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করবেন।”

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার ১-ইস্ট লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ৪৮ বছর বয়সী রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী।

তিনি ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস’ নামের রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডে মোট ৩৬ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেলেও সাত জনের ঠিকানা ও অবস্থান জানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১৩ জুন ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকি ১৪ জন পলাতক। গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে চার জন তদন্ত চলাকালে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন

বেশ কয়েকবছর আগে জীবন বাঁচাতে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে সপরিবারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হন মুহিবুল্লাহ। সেখানেই গড়ে তোলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ)।

রোহিঙ্গাদের কাছে মুহিবুল্লাহ ছিলেন বাড়ি ফেরার স্বপ্নে বিভোর এক মানুষ। গত কয়েক বছর ধরে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমারে সবকিছু ফেলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখো মানুষের মাঝে সেই স্বপ্ন তিনি বিলিয়ে আসছিলেন।

মুহিবুল্লাহর স্বজন ও অনুসারীদের দাবি ছিল, দেশে ফেরার এই স্বপ্নই তার কাল হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যেই একটা অংশ দেশে ফিরতে চায় না। সশস্ত্র দলটির সঙ্গে ‘মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর যোগাযোগ’ রয়েছে বলেও ক্যাম্পের অনেকের বিশ্বাস।

মুহিবুল্লাহ উখিয়ার ১-ইস্ট লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে থাকতেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনিভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায়ও রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। -আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!