ব্রেকিং নিউজ
Home | উন্মুক্ত পাতা | মহিউদ্দিন ওসমানীকে সেরা শিক্ষকের এ্যাঁওয়ার্ড প্রদান

মহিউদ্দিন ওসমানীকে সেরা শিক্ষকের এ্যাঁওয়ার্ড প্রদান

26034678_2024214377862834_1733910167_n

একুশ শতকের শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন একুশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থা ; আর এই একুশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে প্রয়োজন একুশ শতকের শিক্ষক। শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। শিক্ষকদের উপর আস্থা রেখে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে যে সকল শিক্ষক নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে লোহাগাড়ার কৃতিসন্তান মিরসরাই মেহেরুন নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন ওসমানী অন্যতম। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম এর সর্বাত্মক সহযোগীতায় শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের অধীনে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, শিক্ষক বাতায়ন, মুক্তপাঠ, কিশোর বাতায়ন, ই-বুক,ক্লাসরুম মনিটরিং এ্যাপ, আইসিটি ফর এডুকেশন অ্যাম্বাসেডর,ডেইজি টকিং, ডিজিটাল ব্রেইলসহ নানা উদ্যেগ এর সাথে জড়িত। তিনি সেরা ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট নির্মাতা হিসাবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি অর্জন করেছে শিক্ষক বাতায়ন এটুআই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে। শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে মহিউদ্দিন ওসমানী স্যারদের অবদানকে স্বীকৃতিদানের উদ্দেশ্যে “গুনগত শিখন, টেকসই উন্নয়ন স্লোগানকে সামনে রেখে এটুআই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দুই দিনব্যাপী কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দেশি বিদেশী বিভিন্ন ডেলিগেট, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিব ও কর্মকতাদের উপস্থিতিতে এক শিক্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে। উক্ত সম্মেলনে মহিউদ্দিন ওসমানীকে সেরা শিক্ষকের এ্যাঁওয়ার্ড প্রদান করা হয়। আলোকিত শিক্ষক মহিউদ্দিন ওসমানী চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলা সদর জমিদার পাড়া বহদ্দার বাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্ম গ্রহন করেন। গ্রামের তৈয়ব আশারাফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা ও আধুনগর হাই স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে চট্টগ্রামের নামকরা বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ থেকে বি এসসি পাশ করেন,সরকারি ফেনি কলেজ থেকে বি এড পাশ করেন। গ্রামের বাড়ীতে তখন সবাই ব্যবসায় বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তু তার মনে শিক্ষকতার সাধ জাগল, তখনকার সময়ে শিক্ষকতা পেশাটাকে তত সম্মানজনক পেশা হিসাবে মানুষ ভাবতো না, তার ভাষ্যমতে লোহাগাড়া অঞ্চলের মানুষ এই পেশাটাকে গরীবি পেশা মনে করতো।তাই তিনি ১৯৯০ সালে সুদূর মিরসরাই গিয়ে শিক্ষকতা আরম্ভ করেন। সুনামের সাথে মিরসরাই মেহেরুন নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিগত ২৭ বছর যাবৎ শিক্ষকতা করে আসছি । দেশজোড়া খ্যাতি সম্পন্ন মহিউদ্দিন ওসমানী স্যার নিজ এলাকায় ও স্কুল এলাকায় সবার মুখে মুখে এক জনপ্রিয় ওসমানী স্যার।

তিনি মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি করে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকেন। মিরসরাই এর মধ্যে তাঁর স্কুলই একমাত্র স্কুল যে স্কুল সব সময় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এগিয়ে থাকে। মাল্টিমিডিয়া শিক্ষাবিস্তারে ২০১৫ জনপ্রিয় পাক্ষিক পত্রিকা খবরিকা এ্যাঁওয়ার্ড প্রাপ্ত হোন। সেরা ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাতা হিসাবে তিনি ক্যাম্বিয়ান এ্যাঁওয়ার্ডে ভূষিত হন। দেশ সেরা শিক্ষক হিসাবে ভৈরব সোনালী আসর এ্যাঁওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি জেলা অ্যাম্বাসেডর আইসিটি ফর এডুকেশন এটুআই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বহু গুনের অধিকারি মহিউদ্দিন ওসমানী শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিক হিসাবে ও কাজ করেন, তিনি জাতীয় অনলাইন পত্রিকা দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ও বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কাজ করছেন। আরো স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। সৃজনশীলতা কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। তিনি আলোকিত শিক্ষক পরিষদ সাইবার গ্রুপের প্রধান এডমিন। শিক্ষাবার্তা, শিক্ষক দর্পন সহ অনেক ফেসবুক গ্রুপের সাথে কাজ করেন। তিনি গ্রামের বাড়ীতে একটি মসজিদ প্রতিষ্টা করেন। মিরসরাই গোলেকের হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও গোলকের হাট মসজিদের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মিরসরাই প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক, প্রথম সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত,২য় সন্তান এইচ এসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট সন্তান এস এস সি পরীক্ষার্থী। মহিউদ্দিন ওসমানী এক আলোকিত শিক্ষক , তার আলোকিত ধারা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ইতিমধ্যে অনেক। রিপোট প্রকাশি হয়েছে। দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ পত্রিকার পক্ষে স্যারের রইল অভিনন্দন। -খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!