Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বাঁশের সাঁকো দিয়ে দশ গ্রামের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

বাঁশের সাঁকো দিয়ে দশ গ্রামের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

1513007147

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়ার ৫টি, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের একটি ও লোহাগাড়া উপজেলার চারটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার অধিবাসীর যাতায়াতের মাধ্যম ডলু খালের বাঁশের সাঁকো। স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে নির্মিত সাঁকোটির উপর দিয়ে যাতায়াত যেন ডিজিটাল যুগে এনালগ ব্যাপার। তাছাড়া, নড়বড়ে এই সাঁকো পাড়ি দিতে স্থানীয়দের প্রতিবার দিতে হয় নির্দিষ্ট ঘাট খরচ।

সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পার্শ্বে ও লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম পার্শ্বে ডলু খালে সাঁকোটির অবস্থান। সরাসরি যান চলাচল না থাকায় সাঁকোর পার্শ্ববর্তী জনপদের মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে পড়ছে। উপজেলার সোনাকানিয়ার আবদুল আলীম চীেধুরী পাড়া, আলুরঘাট সিকদার পাড়া, খুটিয়া পাড়া, সদর ইউনিয়নের শুক্কুর চেয়ারম্যান পাড়া ও লোহাগাড়ার আমিরাবাদের জলিলনগর, বণিক পাড়া, চৌধুরী পাড়া, উত্তর আমিরাবাদ এলাকার ৫ হাজার মানুষ যাতায়াতে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বর্তমানে বাঁশের এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ ও হালকা যান (রিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক) ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় স্থানীয় জনগণের যাতায়াতে সাঁকোই একমাত্র ভরসা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এলাকার জনগণ প্রতিদিন এ ব্রিজ ব্যবহার করছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া গ্রামের আবদুল আলীম চৌধুরী পাড়ার পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে বয়ে গেছে ডলু খাল। এ খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। প্রতিবার পারাপারে লোকজনকে দিতে হয় ঘাট খরচ। লোকজন বা ছোট গাড়ি পার হলে সাঁকোর দুই পাশের বাঁশের খুঁটিগুলো কেঁপে উঠে। তার পরেও আবদুল আলীম চৌধুরী পাড়া, আলুরঘাট সিকদার পাড়া, খুটিয়া পাড়া, শুক্কুর চেয়ারম্যান পাড়া ও লোহাগাড়ার আমিরাবাদের রোকেয়া বাপের ঘাটা এলাকা, জলিলনগর, বণিক পাড়া, চৌধুরী পাড়া, উত্তর আমিরাবাদ এলাকার ৫ হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করছেন ডলু খালে বাঁশের তৈরি সাঁকোটি।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের জলিলনগর এলাকার মোহাম্মদ সোলেমান সওদাগর ডলু খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে বলেন, ওই স্থানে একটি পাকা ব্রিজ হওয়া খুবই জরুরি। ভাঙা-চোরা সাঁকোটি পার হতে সবাইকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে প্রতিদিন।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্যের একান্ত সচিব এরফানুল করিম চৌধুরী ডলু খালের উপর সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে বলেন, ওই স্থানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমপি মহোদয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। -ইত্তেফাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!