Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | হোটেল থেকে উধাও কোয়ারেন্টাইনে থাকা লন্ডনফেরত ৯ প্রবাসী

হোটেল থেকে উধাও কোয়ারেন্টাইনে থাকা লন্ডনফেরত ৯ প্রবাসী

নিউজ ডেক্স : সিলেট নগরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা লন্ডন ফেরত ৯ প্রবাসী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এনিয়ে নগড়জুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। সেই সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় বিজি-২০২ বিমানের ফ্লাইটে করে ১৫২ জন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে ১৪৭ জনকে সাতদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাসযোগে বিমানবন্দর থেকে নগরের নির্ধারিত আবাসিক হোটেলগুলোতে পাঠানো হয়। এরমধ্যে নগরের আম্বরখানায় ব্রিটানিয়া হোটেলে ৩৫ জন প্রবাসীকে রাখা হয়।

প্রতিদিনের মতো রোববার (২১ মার্চ) সকালে রুটিন চেক করে হোটেল কর্তৃপক্ষ সব প্রবাসীকে নিজ নিজ কক্ষে পেলেও দুপুর থেকে একই পরিবারের ৯ প্রবাসীকে খুঁজে পাননি। বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারার পর রেজিস্ট্রি খাতায় দেয়া মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে উধাও হওয়া প্রবাসীরা সিলেটের জকিগঞ্জের বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানান। তবে পরিবারের একজন অসুস্থ সদস্যকে দেখে তারা আবারও হোটেলে ফিরে আসবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

jagonews24

এ বিষয়ে ব্রিটানিয়া হোটেলের মার্কেটিং ম্যানেজার কাউসার খাঁন রোববার বিকেলে বলেন, ‘আমাদের ও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সকালের পরে কোনো এক সময় তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। তবে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে আসছেন বলে জানান। আমরা তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে না আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ জাগো নিউজ

এক প্রশ্নের জবাবে কাউসার খান বলেন, ‘আমাদের নজরদারিতে কোনো গাফিলতি নেই। তবে গেটে যেসব পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের চোখকে কীভাবে প্রবাসীরা ফাঁকি দিলেন, সেটা বুঝতে পারছি না।’

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের প্রবাসীদের পালিয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘কীভাবে পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা বেরিয়ে গেলেন, এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!