ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দেশে এক দিনেই ১৩৯ জন আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

দেশে এক দিনেই ১৩৯ জন আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

নিউজ ডেক্স : দেশে এক দিনেই ১৩৯ জনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৬২১ জন। রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪ জন।

গত এক দিনে একজন চিকিৎসকসহ আরও তিনজন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ৩৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সর্বশেষ যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন নারী। তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। একজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছর মধ্যে, অন্যজন সত্তরোর্ধ্ব। এই চার জনের মধ্যে দুজন ছিলেন ঢাকার বাসিন্দ, দুজন ঢাকার বাইরের।

অধ্যাপক ফ্লোরা জানান, গত এক দিনে যে ১৩৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের ২৫ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আক্রান্তদের ২১ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

“এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন, যদিও আমরা বয়সভিত্তিক বিভাজন দেখাচ্ছি, যে কোনো বয়সের যে কোনো ব্যক্তি কিন্তু সংক্রমিত হতে পারেন। সুতরাং এ সমস্ত ক্ষেত্রে প্রতিরোধের বিষয়ে কোনো বয়সসীমা নেই। প্রত্যেককেই প্রতিরোধের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

নতুন যে ১৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৪৩ জন নারী। জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় নতুন রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ, ৬২ জন। বাকি ৭৭জন বিভিন্ন জেলার।

বাংলাদেশে নতুন করে আরও চারটি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই চার জেলা হল- লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও ঝালকাঠি।

এ নিয়ে মোট ৩৮টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ল। তবে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় এখনও কোনো রোগী শনাক্ত হযনি।

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, “প্রতিটি জেলার তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, যাদের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে, তারা গত এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ থেকে ওই সমস্ত এলাকাগুলোতে গিয়েছেন। সেজন্য আমরা বারবার সবাইকে সতর্ক করছি, এ সময়ে আপনারা ভ্রমণ করবেন না।”

নভেল করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মোট ৬২১ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের ৫০ শতাংশই ঢাকা নগরীর বাসিন্দা। রোগীদের ৩৫ শাতাংশ ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় থাকেন। চট্টগ্রাম বিভাগের রোগী ৬ শতাংশ। যে তিনজন সর্বশেষ সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ।

ফ্লোরা বলেন, “তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন রোগীকে সেবা দেওয়ার সময় তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনাও উপস্থিত ছিলেন ব্রিফিংয়ে। তিনি জানান, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১ হাজার ২৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩৪০টি নমুনা।

“গতকালকের কিছু স্যাম্পল, যেটা পরে এসেছিল, সেটা আজকে পরীক্ষা হয়েছে। সেজন্য স্যাম্পলের চেয়ে পরীক্ষার সংখ্যা বেশি আমরা দেখতে পাচ্ছি।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এখন ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪২টি পিপিই মজুদ আছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৯ হাজার ১১১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ হাজার ৪১৪ জন। বিডিনিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!