আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, জাতি গঠনে নারীদেরকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। তবে সর্বাগ্রে পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রীদের অধ্যবসায়ী মনোবৃত্তি তৈরি করে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করে বহুমাত্রিক প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সর্বস্তরে অবদান রাখতে হবে। দেশ ও সমাজ সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে নারীদেরকে শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জনপ্রতিনিধি হতে হবে।
ড. আবু রেজা নদভী এমপি বলেন, ভারতের বিখ্যাত স্কলার ড. আকরাম নদভী “আল ওয়াফাউ বি-আসমাঈন নিসাই” নামক ৪৩ খন্ডের যে বই লিখেছেন সেখানে দশ হাজার মুসলিম মহিলার জীবনী স্থান পেয়েছে, যারা ইসলাম ও মুসলমানের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। বর্তমানে যারা দাঈ ইলাল্লাহ হতে চান তাদেরকে পূর্বসূরীদের মতো মাতৃ ভাষার পাশাপাশি ভালো মানের আরবি সাহিত্যিক হতে হবে। যেই সাহিত্য দিয়ে কুরআন ও হাদিসের নির্যাসগুলো জন মানুষের সামনে তুলে ধরবে।
তিনি ৭ নভেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ফিমেল জোনের উদ্যোগে আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজে চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও ফিমেল ক্যাম্পাসের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে বরণ ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী আইআইইউসি প্রতিষ্ঠার ইতহাস ও প্রেক্ষাপটকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, অন্যায়- অসুন্দরের মোকাবেলা পেশীশক্তি নয় বরং বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে করতে হবে। তরবারী নয় জ্ঞানের সৌন্দর্য্য দিয়ে গোটা জগতকে জয় করতে হবে। আইআইইউসির দাওয়াহ বিভাগের ছাত্রীরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দাওয়াহ বিভাগের চেয়ারম্যান আ.ফ.ম নূরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শরীয়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. শাকের আলম শওক, প্রফেসর ড. শাফী উদ্দীন মাদানী, সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আমিনুল হক, প্রভাষিকা মিসেস উম্মে সায়মা তাজকিয়া ও জাকিয়া বিনতে আলম হান্না প্রমুখ। প্রোগ্রামে দাওয়াহ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব শাহ জালাল মাদানী, প্রভাষক আব্দুর রহীম, ড. সাউদ বিন মুহাম্মদ, সালমা বিনতে শফিক উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি