নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালসমূহে রোগীর মৃত্যুর পর ডিজিটাল মৃত্যুর প্রমাণপত্র (ডেথ সার্টিফিকেট) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স’ানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এজন্য আন্তর্জাতিক মানের আইএমসিসিওডি ফরম চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এনালগ ডেথ সার্টিফিকেটে একটি মাত্র কপি থাকতো। যে ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যু হতো, সেই ওয়ার্ড থেকে সার্টিফিকেট সরবরাহ করা হতো। পরে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অফিস ঘুরে সার্টিফিকেটের একটি কার্বন কপি মৃত রোগীর স্বজনেরা পেতো। কিন’ ডিজিটাল ডেথ সার্টিফিকেটের তিনটি কপির মধ্যে সাদা রঙেরটি হাসপাতালের অফিসে রেখে বাকি দুই কপি মৃত ব্যক্তির স্বজনদের দেওয়া হবে। ডিজিটাল প্রমাণপত্রটি নিতে মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন নম্বরের প্রয়োজন হবে। এরপর স্বজনেরা এক কপি নিজেদের কাছে রেখে অন্যটি জমা দেবেন স’ানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। পরবর্তীতে হাসপাতালে সংগ্রহীত কপিটি ডাটাবেইজের জন্য স্বাস’্য অধিদপ্তরের প্রেরণ করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আ ন ম ফয়জুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের অধীনস’ হাসপাতালসমূহে মৃত্যুবরণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ সম্বলিত ইন্টারন্যাশনাল ফর্ম অব মেডিক্যাল সার্টিফিকেট অব কজ অব ডেথ (আইএমসিসিওডি) ফরম চালু করার জন্য নির্দেশ হয়েছে।’
চসিকের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা বলেন, হাসপাতালে রোগী মারা গেলে একটি ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তবে সেটি নিজস্ব পদ্ধতি এবং এনালগ। মন্ত্রণালয় থেকে ডিজিটাল ডেথ সার্টিফিকেট দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সেই অনুযায়ী সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে এবিষয়ে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত মাস থেকে ডিজিটাল ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ডিজিটাল ডেথ সার্টিফিকেট কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে চসিক পরিচালিত হাসপাতালে রয়েছে চারটি। সেগুলো হচ্ছে- মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল ও ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল।