ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অভিযানে ১৪ দিনে আটক ৪১৬

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অভিযানে ১৪ দিনে আটক ৪১৬

image-35694

নিউজ ডেক্স : ট্রেনে কাটা দুর্ঘটনা এড়াতে গত ৬ মাস ধরে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ নানা রকম কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। গত জুলাই মাসে কর্মসূচির শেষ হয়। পরে গত ৮ আগস্ট থেকে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে রেলওয়ে পুলিশ। গত ৮ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৪১৬ জনকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। গতকাল ২৪ আগস্ট গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এসএম শহিদুল ইসলাম বলেন, রেল লাইনের ২০ ফুট এলাকায় সবসময় ১৪৪ ধারা জারী থাকে। রেললাইনের উপর বসা, দোকার বসানো, খেলাধুলা করা কিংবা রেললাইন দিয়ে চলাচল, টিনএজারদের মোবাইল ব্যবহার করে রেল লাইনদিয়ে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এখন যদি কেউ এই আদেশ অমান্য করে রেল লাইনে চলাফেরা করা ও টিকিট ছাড়া স্টেশন এলাকায় ঘুরাফেরা করে আমরা তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করছি। তিনি আরো বলেন, গত ৮ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৪১৬ জনকে আইন অমান্য করার অপরাধে আটক করেছি। তাদের মধ্যে টিকিট বিহীন ট্রেনের ছাদে ভ্রমনের জন্য আটক ৬৪ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্টেশন এলাকায় বিনা টিকিটে প্রবেশ করার কারনে ২৮৫ জনকে আটক করে টিটির মাধ্যমে রেলওয়ে আইনে জরিমানা (ইএফটি) করেছি।

রেললাইনে চলাচল, বসা ও খলাধুলা করার কারনে আটক ৬৭ জনকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এসএম শহিদুল ইসলাম বলেন, রেললাইনের ২০ ফুট এলাকায় সবসময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। রেললাইনের ওপর বসা, দোকান বসানো, খেলাধুলা করা কিংবা রেললাইন দিয়ে চলাচল, টিনএজারদের মোবাইল ব্যবহার করে রেললাইন দিয়ে চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ।

আমরা জুলাই পর্যন্ত ছয় মাস বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। এখন যারা আইন অমান্য করছেন তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করছি।

-আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!