Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামে বিপদ সংকেত ৬, মংলা পায়রায় ৭

চট্টগ্রামে বিপদ সংকেত ৬, মংলা পায়রায় ৭

images12

নিউজ ডেক্স : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আবহওয়া অধিদপ্তর বিপদ সংকেত জারি করার পর চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পাশাপাশি সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেছে অভ্যন্তরীণ নৌপ‌রিবহন কর্তৃপ‌ক্ষ।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হয়।

পাশাপাশি কক্সবাজারে আগের মতোই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সংকেত বাড়ানোর পর চট্টগ্রামে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দর জেটিতে মোট ১৮টি জাহাজ ছিল। আর বহির্নোঙ্গরে ছিল ১৪৯টি জাহাজ। এর মধ্যে ৫৩টি জাহাজ জেটিতে আসার অপেক্ষায় ছিল।

তিনি বলেন, ‘পণ্য উঠানামাসহ বন্দরের সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। জেটিতে থাকা জাহাজগুলাকে সকালে বহির্নোঙ্গরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লাইটার জাহাজগুলোকে কর্ণফুলী নদীর উজানে নিয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হযেছে।’

মংলা বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, এ বন্দরে ১৪টি বিদেশি জাহাজে মালামাল তোলা ও খালাসের কাজ চলছিল। বিপদ সংকেত পাওয়ার পর বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

পায়রা বন্দরে এখন কোনো জাহাজ নেই তবে ১২টি টাগবোট রয়েছে। বিপদ সংকেত আসার আগেই বেলা ১২টার মধ্যে এ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

পায়রা বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মহিউদ্দিন খান জানান, শনিবার ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজের কয়লা নিয়ে আসার কথা ছিল, তাদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অধিকাংশ এলাকায় বিরাজ করছে মেঘলা আবহাওয়া, চট্টগ্রাম সহ অনেক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!