Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | গুলি কেনার অনুমতি চেয়ে ডিআইজি মিজানের আবেদন

গুলি কেনার অনুমতি চেয়ে ডিআইজি মিজানের আবেদন

image-82833

নিউজ ডেক্স : অস্ত্রের মুখে নারী অপহরণসহ নানা নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক সহকারী কমিশনার ডিআইজি মিজানুর রহমান তার ব্যক্তিগত পিস্তলের গুলি কেনার অনুমতি চেয়ে মাগুরায় আবেদন করেছেন। সোমবার দুপুরে মাগুরা জেলা প্রশাসক বরাবর এ আবেদন করা হয় বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়।

সূত্র মতে, ডিআইজি মিজান আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন, ১৯৯৮ সালে মাগুরায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তিনি একটি এনপিবি পিস্তল লাইসেন্স-নং ০৬/মাগুরা/১৯৯৮ প্রাপ্ত হন। পরে ২০১১ সালের ২৩ মে নং- DAA498318 Beretta. Made in U.S.A মডেলের একটি পিস্তল কেনেন তিনি। ওই পিস্তলের জন্য বিধি মোতাবেক ৪০ রাউন্ড গুলি কেনার অনুমতি চেয়ে আজ আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাগুরার জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করলেও কোনো ধরনের  মন্তব্য করতে রাজি নন।

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তাকে  ডিএমপির সহকারী কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তিনি বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত আছেন।

গত জানুয়ারি মাসে মরিয়ম আক্তার ইকো নামের এক তরুণী সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, গত বছরের মাঝামাঝি ডিআইজি মিজান তাকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। এরপর তাকে লালমাটিয়ায় ৫০ হাজার টাকার ভাড়া ফ্ল্যাটে নিয়ে গোপনে সংসার শুরু করেন ডিআইজি মিজান। ওই ফ্ল্যাটের নিচে সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক পুলিশের দুজন সদস্যকে পাহারায় রাখা হয়। এর ফলে ইকো একরকম গৃহবন্দি হয়ে পড়েন। কথায় কথায় তাকে মারধর করতেন ডিআইজি মিজান- এমন অভিযোগও করেন ইকো।

মাস চারেক পর একদিন ইকো অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়ে অফিসে মুডে থাকা একটি ছবি ফেসবুকে আফলোড করেন। ছবির বিষয়টি পুলিশের ওপর মহলে জানাজানি হয়ে যায়। ফেসবুক থেকে দ্রুত ছবিটি সরিয়ে ফেলতে লালমাটিয়ার বাসায় ছুটে যান মিজান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী ইকো, শাশুড়ি কুইন তালুকদারের সঙ্গে তার চরম বাগবিত-া হয়।

সেপ্টেম্বরের এ ঘটনার পর তাদের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটলেও ইকো সামাজিকভাবে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী পরিচয়ের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অটল থাকেন। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখে বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা করা হয়। এ মামলায় ইকোকে ১২ ডিসেম্বর পুলিশ গ্রেফতার করে। ১৩ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করার পর তার জামিন আবেদন নাকচ হওয়ায় তাকে কারাগারে যেতে হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ভুয়া কাবিন করার অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা করা হয়। এরপর বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে আসতে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!