ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আমরা রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না

আমরা রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না

নিউজ ডেক্স : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আমরা রাজপথে এখনো নামিনি, আগামী মাসে পরিপূর্ণভাবে নামব। রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না। বিএনপিকে অবশ্য সারাদেশে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নয়াপল্টনের অফিস এবং প্রেস ক্লাবের সামনে। বিএনপি’র সেসব সমাবেশে এখন অনেক নেতাকর্মীকে দেখতে পাচ্ছি তাদের কিভাবে গর্তে ঢোকাতে হয় সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হবে।”

আজ শনিবার(১৩ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি’র পেট্টোলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের তাড়িয়ে দিতে হবে এবং প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপি’র সমাবেশে আমরা কখনো বাধা দিইনি, দেবোওনা কিন্তু নিজেরা যখন মারামারি করে তখনতো অন্য কারো বাধা দিতে হয় না। যদি পেট্টোলবামা বাহিনীদের দেখি তখন কিন্তু আমরা বসে থাকব না, আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”

মন্ত্রী বলেন, “বর্ষাকালে যখন বৃষ্টি হয় তখন পুকুরে পুঁটি মাছ খুব লাফায়, পুঁটি মাছের সাথে মলা মাছও খুব লাফায়। এখন বিএনপি’র লাফালাফি হচ্ছে পুঁটি আর মলা মাছের লাফালাফির মতো। তেলের দাম বাড়াতে ওরা একটু লাফাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সমগ্র পৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ৬০ ডলারের তেল ১৭০ ডলারে গিয়েছে। এখন সেটি ১৩৮/৪০ ডলার। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। আমাদের দেশে আমরা তেলের দাম দ্বিগুণ করি নাই। সবমিলিয়ে ৩৮/৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা বাড়িয়ে পশ্চিম বাংলার সমান করেছি। বিশ্ববাজারে যদি তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে কমে তাহলে আবার তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। তাই বিএনপি’র এই পুঁটি ও মলা মাছের মতো এত লাফালাফির কোনো প্রয়োজন নেই।”

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একজন রাষ্ট্রপতি বা রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা তা নয়। এদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফজরের আলো ফোটার আগে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সংবাদ জিয়াউর রহমানের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় তখন সেই ভোরবেলা সুটেড-বুটেড অবস্থায় থাকা জিয়ার স্বাভাবিক জবাব ছিল, কি হয়েছে তাতে, উপ-রাষ্ট্রপতিতো আছে! তখন তিনি পোশাক পরে তৈরি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের খবরের অপেক্ষায়।”

তিনি বলেন, “কর্নেল ফারুক ও রশিদ ১৯৭৬ সালে লন্ডনে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে জিয়াউর রহমানের সাথে আলোচনা করেছেন। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা দখল করে তখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যে তার সংশ্লিস্টতা, সেই যে অন্যতম কুশীলব ছিল তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমস্ত প্রমাণ করেছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন, তাদের বিদেশে চলে যাবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বন্দুকের নল থেকে নির্গত দল হচ্ছে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি। তিনি বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন। সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ, গয়েশ্বর বাবুসহ যারা যোগদান করেছিলেন তারাই হচ্ছেন বিএনপি’র বড় বড় নেতা। তারা সবাই রাজনীতির কাক।”

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “কাগজে দেখলাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন সরকার নাকি কোনো সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না বিদেশীদের চাপে। আমাদের নেত্রী কদিন আগে বলেছেন আমরা বিএনপি’র কোনো সমাবেশে বাধা দেব না এবং আমরা কোনো বাধা দিইনি। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম গতকাল তারা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছেন। সমাবেশ ডাকলে যারা নিজেরাই চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে, নিজেরা মারামারি করে সমাবেশ পণ্ড করে, সেখানে বাধাতো আমাদের দেয়ার দরকার নাই। ভবিষ্যতেও দেখবেন যখনই বিএনপি সমাবেশ ডাকবে তখনই নিজেরা সমাবেশ ডেকে নিজেরা সমাবেশ পণ্ড করে দিবে।”

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি’র সময়ে সারা দেশের ৫শ’ জায়গায় বোমা ফাটিয়েছিল। আগামী ১৭ আগস্ট সেই বোমা হামলা দিবসের দিন সমগ্র বাংলাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি’র নৈরাজ্য এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। রাঙ্গুনিয়ায়ও সারাদেশের মতো ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাবেশ করে নেতাকর্মীদৈর প্রতিবাদ জানানোর অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, জহির আহমদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিচ আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, আবু তাহের, এমরুল করিম রাশেদ, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। -আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!