Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আবার সরব মহিউদ্দিন চৌধুরী : নেপথ্যে কী ?

আবার সরব মহিউদ্দিন চৌধুরী : নেপথ্যে কী ?

Mohiuddin-bg20170413225509

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পদে নেই গত সাত বছর ধরে। অথচ দীর্ঘ এই সময়ে ঠিকই আলোচনা–সমালোচনায় ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এই আলোচনা–সমালোচনার বেশির ভাগই ছিল একই সংগঠনের নেতা–কর্মীদের নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার মাধ্যমে। অবশ্য এখানে বেশ কৌশলী ছিলেন তিনি। এইক্ষেত্রে বন্দরসহ বিভিন্ন ইস্যুতেই দলীয় নেতাদের জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। তবে গত এক বছর ধরে ‘পৌরকর’, ‘জলাবদ্ধতা’ ও ‘নগর উন্নয়ন’সহ সরাসরি নাগরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ গত শুক্রবার নাগরিক দুর্ভোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। যথারীতি সেখানে মেয়র, সাংসদ এবং সরকারি সংস্থার (সিডিএ) শীর্ষ কর্তাদের দিকেই ইঙ্গিত করেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর এই ‘নীরব–সরব’ খেলা নিয়ে দলটির ভেতরে–বাইরে আছে নানা গুঞ্জন। দলটির শীর্ষ নেতাদের অনেকের ধারণা, সাম্প্রতিক সময়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী নিজেকে আলোচনায় রাখতে চান আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। বয়সের কারণে নিজে প্রার্থী হতে না পারলেও তার ছেলে এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) ব্যারিস্টার মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নৌকার প্রার্থী করতে চান তিনি। এইক্ষেত্রে চট্টগ্রাম–৯ তথা কোতোয়ালী–বাকলিয়া আসনের কথাই আলোচনা হচ্ছে বেশি।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ‘দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের সঙ্গে কোন নেতার যোগাযোগ বেশি সেটা বিবেচনা করবেন। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মাঠে যোগাযোগ আছে। কিন্তু বয়সের কারণে তিনি মনোনয়ন পাবেন না। তিনি নিজের পরিবর্তে নিজের ছেলের মনোনয়ন চাইবেন’।

দলটির ভেতরে গুঞ্জন আছে, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের মেয়াদকালে (২০১০–২০১৫) কিছুদিন পর পর নানা ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। সর্বশেষ ২০১৫ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেযেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে প্রার্থী করেন নি দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য মহিউদ্দিনের এ ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে নওফেলকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছিল।

এদিকে গত ১১ জুলাই চট্টগ্রাম–৯ সংসদীয় আসনভুক্ত বাকলিয়ায় মতবিনিময় সভা করেছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বাকলিয়ার কালামিয়া বাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে নওফেলের বক্তব্যজুড়ে ছিল এই সময়ের আলোচিত সমস্যা জলাবদ্ধতা। অবশ্য সেদিন নওফেল এটা বলেছিলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক অভিপ্রায় নিয়ে এই সভায় আসিনি। এলাকাবাসীর সমস্যা শুনে তা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধর্ণা দেব। আমি এও জানি, বাকলিয়া দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এই অবহেলার অবসান হবেই।’ ওই মতবিনিময় সভার পর অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই নওফেলের ওই মতবিনিময় সভাকে রাজনৈতিক সমাবেশ বলেই মন্তব্য করেছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর লালদীঘি মাঠে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল ব্যারিস্টার মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় নেতাদের । চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর–দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনা দেয়। এরপর থেকে চট্টগ্রামে এলেই চট্টগ্রাম–৯ আসনের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন নওফেল।

উল্লেখ্য নগরীর ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম–৯ সংসদীয় আসন। গত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা (বর্তমানে প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রী) নুরুল ইসলাম বিএসসি এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা যা বললেন : গত শুক্রবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মহিউদ্দিন চৌধুরী নগরীর জলাবদ্ধতা, যানজট ও সড়কের দুরবস্থাসহ নানা নাগরিক দুর্ভোগের জন্য মেয়র, সাংসদ ও সরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের দায়ী করে তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চট্টগ্রামের এমপিরা সংসদে কথা না বলে বাণিজ্য করেন বলেও অভিযোগ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি মেয়র আ জ ম নছিরেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম –১১ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ এম এ লতিফ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘উনি (মহিউদ্দিন চৌধুরী) সিনিয়র রাজনীতিবিদ, কথা বলতেই পারেন। যখন বলা উচিত মনে করেন তখন বলেন হয়তো। সম্ভবত চিন্তার পার্থক্যের কারণে উনার ‘এক্সপেক্টেশন’ (প্রত্যাশা) অনুযায়ী আমরা বলি না (সংসদে) বলেই উনি বলছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা চট্টগ্রামের কথা সংসদে বলি। আমার মনে হয় কি, কার কতটা অংশগ্রহণ থাকে সেটা সংসদের কার্যক্রম বিশ্লেষণ না করে বলা যাবে না। আমি কি প্রশ্ন উত্থাপন করেছি এবং কি ভূমিকা রেখেছি সেটা সংসদে রেকর্ড আছে। এই রেকর্ড দেখলেই বোঝা যাবে চট্টগ্রামের কোন সংসদ কতটা প্রশ্ন করেছেন, কোন মন্ত্রী কি বলেছেন। সংসদে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলেন উল্লেখ করে এম এ লতিফ আরো বলেন, ‘খুব কম দিন আছে আমি প্রশ্ন উত্থাপন করি না, চট্টগ্রামের সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে তো সবসময় বলে থাকি। চট্টগ্রাম নিয়ে উনি চিন্তা করেন এমন কোন বিষয়টি বলিনি তা বুঝতে পারছি না, যে জন্য উনি ক্ষুদ্ধ হয়েছেন’।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম–৯ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে ছিলাম। উনি (মহিউদ্দিন চৌধুরী) কি বলেছেন আমি দেখিনি–শুনিনি, তাই এ বিষয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না’।

মহিউদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইরে নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, উন্নয়ন চলমান প্রক্রিয়া। উন্নয়ন দৃশ্যমান হলে তখন জনগণ কারো কথায় ‘প্রভাবিত’ হবে না। তখন কারো কথায় কাজ হবে না। আমি বলতে চাই, ‘শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। চট্টগ্রামে উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে তা শেষ হলে চট্টগ্রাম ৫০ বছর এগিয়ে যাবে’।

অবশ্য গত শুক্রবারই আ জ ম নাছির মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি আজাদীকে বলেছিলেন, ‘বয়স হয়েছে। কি বলে ঠিক আছে!’ মহিউদ্দিন চৌধুরীর, ‘কথাবার্তায় মনে হয় নাছির রাষ্ট্রপতির চেয়েও বড় বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘কেন বলেছেন সেটা আমি জানি না। আমি তো কোনদিন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলিনি। আমার মধ্যে তো দাম্ভিকতাও নেই। আমার চরম শত্রুও বলতে পারবে না, আমার মধ্যে চুল পরিমাণ দাম্ভিকতা আছে।’

এদিকে সাধারণ লোকজনের অনেকেই বলছেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁর এ বক্তব্য দলটির অন্য নেতাদের উপর বিশেষ করে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন তাদের উপর একধরনের চাপ তৈরি করে। এই চাপের প্রভাবে নাগরিক দুর্ভোগ রোধে কেউ যদি এগিয়ে আসেন তা তো জনগণেরই লাভ । তাছাড়া সাধারণ মানুষ ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিদের কাজের প্রকাশ্য সমালোচনা করার আগে কিছুটা হলেও চিন্তা করেন। অনেক ক্ষেত্রে ভয়ও পান। কিন্তু কাজের সমালোচনা থাকা উচিত। যা কিছুটা হলেও করে থাকেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

অতীতেও সরব ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী : অতীতে বিভিন্ন সময়ে বন্দরসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। অনেকটা ‘আক্রমণাত্বক’ বক্তব্য দিয়ে চলে আসতেন আলোচনায়। মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দলীয়ভাবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধেও ছিল সমালোচনা। তবে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আ জ ম নাছিরকে ইঙ্গিত করে প্রথম বক্তব্য দেন ২০১৬ সালের মার্চ মাসে। ওই বছরের ২০ মার্চ নগরীতে পঞ্চবার্ষিকী কর মূল্যায়ন শুরু করেছিল চসিক। এর দুইদিন পর কর বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এটা নিয়ে চলে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। ওই বছরের ১ মে লালদীঘির মাঠে এক সমাবেশে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি মেয়রকে বলছি। আপনি সংযত হয়ে কথা বলুন। এক বছরে শহরে তেমন উন্নয়ন হয় নি’।

মাঝখানে কিছুদিন নীরব থাকার পর ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর আবারো মুখ খুলেন মহিউদ্দিন। সেদিন দুপুরে এক শ্রমিক সমাবেশে ‘চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, বন্দর–পতেঙ্গার সাংসদ এম এ লতিফ, পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেই তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। অবশ্য ওইদিন রাতে আবার আ জ ম নাছিরের আন্দরকিল্লাস্থ বাসায় গিয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

এর পাঁচ মাস পর আবার তাঁর (মহিউদ্দিন চৌধুরী) ভাষায় ‘গরম কথা’ বললেন তিনি। ১০ এপ্রিল লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সিটি কর্পোরেশন ও আ জ ম নাছিরের কড়া সমালোচনা করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। আ জ ম নাছিরকে মেয়র হিসেবে ‘ব্যর্থ’ এবং ‘খুনি’ হিসেবেও অভিযুক্ত করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এমনকি টাকার বিনিময়ে আ জ ম নাছির মনোনয়ন নেন বলেও দাবি করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এর পরদিন ১১ এপ্রিল মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ‘পাগল’ বলে আখ্যায়িত করে পৌরকরসহ অন্যান্য বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন আ জ ম নাছির। এমনকি তাকে খুনি হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী যে অভিযোগ আনেন তার স্পপক্ষে প্রমাণও চান। পাশাপাশি এরপরে চসিকের প্রোগ্রামেও মহিউদ্দিনের বক্তব্যের সমালোচনা করেন নাছির। আ জ ম নাছিরের প্রতিক্রিয়ায় একইদিন (১১ এপিল) সংবাদ সম্মেলন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। সেদিন তিনি ‘লাঠি’ হাতে আ জ ম নাছিরকে ইঙ্গিত করে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলের ব্যানারে ১৩ এপ্রিল ৫১ জন কাউন্সিলর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানান মহিউদ্দিনের বক্তব্যের। পরে দু’পক্ষের অনুসারি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরাও একই ইস্যুতে পরষ্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তবে এ বিরোধের অবসান ঘটেছিল ১৭ এপ্রিল। সেদিন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুজিব নগর দিবসের আলোচনা সভায় বিরোধের অবসান ঘটান মহিউদ্দিন চৌধুরী। সমাবেশে বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি এবং সাধারণ সম্পাদক (নাছির) মিলে এই চট্টগ্রামে যত সমস্যা আছে তা সমাধানের চেষ্টা করবো’। প্রতিত্তুরে আ জ ম নাছিরও বললেন, ‘উনার সাথে কাজ করব উনার নেতৃত্বে’।

এরপর আবারো চার মাস চুপ ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। সর্বশেষ গত শুক্রবার নতুন করে নাছিরের সমালোচনা করেন তিনি। একসঙ্গে চট্টগ্রামের সাংসদদের প্রতি ইঙ্গিত করেও কথা বলেন তিনি। অবশ্য মাঝখানে আরেকবার মৎস্য আড়ত নিয়েও আ জ ম নাছিরের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিলেন তিনি।

-আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!