কেমন থাকো, কেমন আছো?
বহুদিন, বেশ ক’টি দিন
মেঘের গর্জন শুনিনা
সমুদ্র- তোলপাড় দেখিনা,
বহুকাল তোমার মুখে
আমার নামটি শুনিনা
তুমি আর আগের মতো
ডাকনামটি ধরে ডাকোনা,
বেশ ক’টি দিন তোমার চোখে
আমার ছায়াটি দেখিনা
এখন আর আগের মতো
আমার দেখাটি চাওনা।
চোখে মেঘ জমে
বুকে তোলপাড় ওঠে
এখন তুমি কেমন থাকো?
এখন তুমি কেমন আছো?
মন্ত্র জানো?
পারো? মনটা করে দিতে ভালো ?
মন ভালো করার মন্ত্র কী আছে জানা?
প্রয়োজন ছিলো বড়!
জানো? মন খারাপের সীমানা কত দূরে?
দশ-দিগন্ত ছাড়িয়ে যায় ঘন অন্ধকারে
আঁধার দূর করবার মন্ত্র কী আছে জানা?
দরকার ছিলো বড়!
অসমাপ্ত কাহিনী
অনির্বচনীয় রঙ -রূপ, গর্বের ঐশ্বর্য আর
কার্পণ্যহীন সুরভি – সম্ভার দিয়েছিলে উজার করে
কলমের নিবে ঝরে পড়া তারার মুক্তো,
মদির যৌবনে ভরপুর ছিলো তোমার খাতার পাতা।
প্রতিটি শব্দে চমকে উঠতে দেখেছি ধবধবে শাদা বিদ্যুৎ
স্ফুলিঙ্গ জেগেছে অকুণ্ঠ উচ্চারণের অকল্পনীয় আমেজে।
হৃদয়ভেদ করে যাওয়া দ্রুতগামী তীরের মতো মৃত্যুতে
অসমাপ্ত কাহিনীর মতো স্থায়ী বেদনায় স্থির রেখে গেছো।।