নিউজ ডেক্স : ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলামের কৃষিখাত থেকে ৫ হাজার টাকা আসার তথ্য দিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় তথ্য দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে কারাগারে থাকা এ স্বতন্ত্র প্রার্থীর হাতে নগদ টাকা রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫ টাকা। ২০০৮ সালে যেটা ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ ও ব্যাংকে জমা ছিল ৯৪ হাজার ৪৫৩ টাকা। এক্ষেত্রে আয়ের উত্থান হয়েছে। খবর দৈনিক আজাদীর।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় আয়ের উৎসের বিষয়ে বলা হয়েছে, দারুল হিকমা নামক প্রতিষ্ঠানের মিটিং এলাউন্স থেকে বছরে ৩০ হাজার টাকা, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ট্রাস্ট থেকে ১৬ লাখ টাকা ও অন্যান্য উৎস থেকে বছরে আসে ৩ হাজার ২৯৪ টাকা। অবশ্য এক্ষেত্রে তার নির্ভরশীলদের কাছ থেকে এসেছে ৫১ হাজার ৯৯৬ টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমান ৮৯ হাজার ৪৭ টাকা। আর স্ত্রীর নামে ৫ হাজার ৬৩৪ ও নির্ভরশীলদের নামে ৩৫১ টাকা।
শামসুল ইসলামের নামে সাফ হোল্ডিং লিমিটেড এর শেয়ার রয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার এবং স্ত্রীর নামে আছে ৫ লাখ টাকা।
নির্ভরশীলদের নামে ফিঙড ডিপোজিট রয়েছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ১১১ টাকা।
নিজের ও স্ত্রীর নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকার। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী রয়েছে সাড়ে ৫ লাখ টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে দুইজনের ৪ লাখ টাকার।
শামসুল ইসলামের নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৬২ লাখ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকার। এপার্টমেন্ট ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার।
শামসুল ইসলামের হলফনামায় বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেয়া প্রাতিষ্ঠানিক লোন আছে ৭৪ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার ৮০০ টাকা।
এমএসএস পাস এ প্রার্থী ২০০৮ সালে দেয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, বাকলিয়া মৌজায় তাঁর ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ টাকার জমি থাকার কথা।
ওই সময় তাঁর মোট বাৎসরিক আয় ছিল ১৫ লাখ এবং ব্যয় ২ লাখ টাকা। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট থেকে আসত ৪ লাখ ৮০ হাজার ও সাফ হোল্ডিং থেকে সম্মানী ভাতা হিসেবে আসতো বছরে ৩ লাখ টাকা।