নিউজ ডেক্স: শপথ নিয়েছেন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গভবনে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে শপথ পাঠ করান।
তিনজন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তারা হলেন— ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়।
শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে কোটা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ সদস্যের নাম
প্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস
উপদেষ্টা-
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৩. ড. আসিফ নজরুল
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৭. শারমিন মুরশিদ
৮. ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)
৯. আদিলুর রহমান খান
১০. সুপ্রদীপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. মো. নাহিদ ইসলাম
১৬. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চান ইউনূস
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ একটা বড় পরিবার। এই পরিবারে আমরা একসঙ্গে চলতে চাই। আমাদের সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যা আছে সরিয়ে ফেলতে চাই। যারা বিপথে গেছে তাদের পথে আনতে চাই। যাতে করে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন যমুনায়
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনটি। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হয়েছে।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন।
এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানও তাদের দায়িত্বের দিনগুলোতে এই অতিথি ভবনে ছিলেন।