এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ায় দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত থানা ও উপজেলা পরিষদ ভবন পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে এসব ভবন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে থানা ভবনের সামনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। এই সময় সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল শুক্কুর, উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইউসুফ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়করা।
এরআগে ঢাকায় আন্দোলনরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত লোহাগাড়ার কিশোর ইশমামুল হকের বাড়িতে স্বজনদের খোঁজ-খবর নিতে যান জেলা প্রশাসক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়করা। এই সময় ইশমামুল হকের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়া ইশমামুল হকের বাড়িতে যাবার রাস্তাটি সংস্কার পূর্বক তার নামে নামকরণ করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, এমন ধ্বংসযজ্ঞ কোন ছাত্র করতে পারে না। ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করেছে। কোন স্থাপনা আর কারোর উপর আক্রমণ করে নাই। লোহাগাড়া থানা ও উপজেলা ভবনসহ গুরুত্ব সবগুলো স্থাপনা এই এলাকার ছাত্রদের দেখে রাখতে হবে। যাতে কোন দু:স্কৃতিকারী পুণরায় হামলা করতে না পারে। না হলে ইশমামুল হকের রক্ত বৃথা যাবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কোটা আন্দোলনের ঘটনায় যতগুলো হত্যাকান্ড হয়েছে সবগুলোর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। থানার কার্যক্রম না থাকার কারণে সবার জীবন অনিরাপদ। জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে আছে। থানা ও উপজেলা ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছাত্র-জনতা নিয়েছেন। সকল পুলিশ সদস্যকে থানা যোগদান করে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন তিনি।