এলনিউজ২৪ডটকম : চকরিয়ায় ব্যবসা করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন লোহাগাড়ার যুবক লতিফ উল্লাহ (৩৮)। তিনি উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সুফি মিয়াজি পাড়ার মৃত মো. ইলিয়াছ সওদাগরের পুত্র। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, নিহতের মরদের বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী সেলিনা আক্তার। দুই কন্যা সন্তান লাবিবা মকসুরাত (১২) ও রাকিকাত কমসুরাত (৬) পিতাকে হারিয়ে থামছে না কান্না। পুরো এলাকা যেন শোকস্তব্ধ। উপস্থিত প্রায় সবার চোখ অশ্রুসিক্ত। শুধুই কান্নার রোল। কে কাকে দিবে শান্তনা। কেউ থামাতে পারছেনা স্বজনদের কান্না।
নিহতের ভাগিনা মারুফুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে পৈত্রিক সূত্রে ব্যবসা করতে যান চকরিয়ায়। কয়েক বছর পৈত্রিক ব্যবসা দেখাশুনা করলেও পরে ‘লাবিবা এন্টারপ্রাইজ’ নামে নিজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। প্রায় ৩ বছর থেকে স্বপরিবারে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। তবে ঘটনারদিন নিহতের স্ত্রী ও সন্তানরা লোহাগাড়ার গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। নিহতের মা-বাবা আগে মারা গেছেন। তারা ৩ ভাই ৯ বোন। এরমধ্যে তিনিসহ ২ ভাই ও ২ বোনও মৃত্যু বরণ করেছেন। কারো সাথে তার মামার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল না। তবে তার মামাকে কেন হত্যা করা হয়েছে তারা বুঝে উঠতে পারছেন না। হয়তো দুর্বৃত্তরা টাকা লুট করতে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, চকরিয়ায় নিহত লতিফ উল্লাহ তার এলাকার বাসিন্দা। তিনি খুবই ভালো ছেলে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় কারো কোন অভিযোগ নেই। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবসায়ী লতিফ উল্লাহ হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার জোরদাবী জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় চকরিয়া পৌর শহরের সরকারি হাই স্কুল সড়কের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুন হন ব্যবসায়ী লতিফ উল্লাহ। দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকাও লুট হয়েছে বলে জানা গেছে।