নিউজ ডেক্স : বরিশালের ঘটনাকে পুঁজি করে কাউকে পানি ঘোলা করতে দেওয়া হবে না জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবার আগে এ নিয়ে অতিমাত্রায় কথা বলা বা কিছু করাও সমীচীন হবে না বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেলে শের-ই-বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলানিউজ
বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতের হামলার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বরিশালের ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের দলের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। দলের কথা বলে বা দলেরই কেউ কোনো অপকর্মে লিপ্ত হলে নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
বরিশালের ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন, দু’টি মামলা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৬০ জন গুলিবিদ্ধ ও অনেকের আহত হবার কথা বলা হয়েছে, সেটিও দেখা হচ্ছে। তদন্তাধীন বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না, তদন্তের ভিত্তিতে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশাসন ক্যাডার ইতোমধ্যেই এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং সেখানে বরিশালের মেয়র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলা হয়েছে, তদন্তাধীন বিষয়ে এমন বিবৃতি দেওয়া যৌক্তিক কিনা, বা তারা এটা করতে পারে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি দেখেছি প্রশাসন ক্যাডারের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তবে এ ঘটনাকে পুঁজি করে কাউকে পানি ঘোলা করতে দেওয়া হবে না। আমি মনে করি তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবার আগে এ নিয়ে কারো অতিমাত্রায় কথা বলা বা কিছু করা সমীচীন হবে না।
এর আগে সভায় তথ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আগস্ট মাস বাঙালির শোকের মাস। এ আগস্টেই আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু মুজিবকে হারিয়েছি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকেও এ মাসেই হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধু যেভাবে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন, তাতে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় যে নিজের প্রাণ, তা হাতের মুঠোয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে এনেছে বাঙালিরা, এজন্যই বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
ঢাকা উত্তরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহা. ফোরকান হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও ১৫ আগস্টের ওপর আলোকপাত করেন। সভা শেষে উপস্থিত মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন অতিথিরা।