Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | গ্রিনকার্ড আবেদনের জট, যুক্তরাষ্ট্রে ভোগান্তিতে লাখ লাখ অভিবাসী

গ্রিনকার্ড আবেদনের জট, যুক্তরাষ্ট্রে ভোগান্তিতে লাখ লাখ অভিবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদনে ‘পাহাড়’ জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দপ্তরে; কিন্তু প্রচলিত আইন ও কোটা পদ্ধতির কারণে সেসব আবেদনের কোনো সুরাহা সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে জটে পড়েছেন বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৮ লাখ আবেদনকারী। কবে নাগাদ তারা গ্রিনকার্ড পাবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।

এই আবেদনকারীদের সবাই বৈধভাবে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাদের অনেকে দেশটিতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থী ভিসায় এবং ডিগ্রি অর্জনের পর সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেছেন। অনেকে আবার কোনো মার্কিন নাগরিকের স্পন্সরের ভিত্তিতে গিয়েছেন দেশটিতে।

কোনো দেশ থেকে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নাগরিকত্ব অর্জন করতে হলে অবশ্যই দেশটিতে কাজ করার বৈধ অনুমোদনপত্র বা গ্রিনকার্ডের অধিকারী হতে হয়। সেজন্য আবেদন এবং কিছু নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও অনুসরণ করতে হয়।

প্রতি বছর কত সংখ্যক আবেদনকারীকে গ্রিনকার্ড দেওয়া হবে— তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির অভিবাসন আইনে কোন কোন দেশের কত সংখ্যক আবেদনকারীকে গ্রিনকার্ড দেওয়া হবে— সে সংক্রান্ত কোটাও রয়েছে।

আবেদনের সময় বা ক্রম অনুসারে সেই কোটা পূরণ করা হয়। বাৎসরিক কোটা পূর্ণ হয়ে গেলে যেসব আবেদনকারীর আবেদন বাদ পড়ে, চেষ্টা করা হয় পরের বছর তাদেরকে যেন তালিকায় স্থান দেওয়া যায়।

মূলত এই কোটার কারণেই অনেক আবেদনকারীর আবেদন এ মুহূর্তে মঞ্জুর করা যাচ্ছে না। দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অপেক্ষমান ১৮ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে ১১ লাখই ভারতীয়।

গ্রিনকার্ড লাভের প্রক্রিয়া

বহুল আকাঙ্ক্ষিত গ্রিনকার্ড অর্জনের জন্য প্রথমে মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের স্থানীয় কোনো শাখা কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়। আবেদনকারী যে দেশের, সেই দেশটির কোটা যদি খালি থাকে— সেক্ষেত্রে ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। যদি খালি না থাকে, তাহলে পরের বছরের জন্য তুলে রাখা হয়্

এই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর বসবাসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা চেয়ে আবেদন করতে হয়। যদি সেটিও মঞ্জুর হয়— সেক্ষেত্রে আবেদনকারী পান গ্রিনকার্ড।

মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অপেক্ষায় থাকা এসব আবেদনকারীর অর্ধেকেরও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, ১৯ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন, ১৩ শতাংশ আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে যাওয়া ‘বিশেষ’ অভিবাসী এবং ৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিকদের স্পনসরের ভিত্তিতে গিয়েছেন দেশটিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!