অামাদের শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম অাল্লামা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির ছিলেন একজন বড় মাপের অালেম ও সমাজ সংস্কারক। তিনি রাজনৈতিক ও কট্টরপন্থী ছিলেন না। সর্বজন শ্রদ্ধেয়, অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যারা ইসলাম, দেশ ও সমাজ সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাঁদের সহযোগী ও সৎ পরামর্শক ছিলেন। তাঁর অাদর্শ ও দেখানো পথে এবং লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অামাদের পরিবার এখনো অটল অাছে এবং থাকবে।
অামাদের নানা বিশ্ববরেণ্য অাল্লামা ফজলুল্লাহ (রহঃ) এর সুযোগ্য সন্তান অান্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব প্র. ড. অাবুরেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এম.পি. মহোদয় অামাদের শ্রদ্ধাভাজন মামা এবং অামাদের অাম্মাজানের স্নেহের ছোট ভাই হিসেবে তাঁর পাশে অামাদের পরিবার সবসময় ছিল এবং থাকবে।
তবে যারা উশৃংখল, অভদ্র ও অশ্লীল অপরাজনীতির সাথে জড়িত তাদের সাথে অামাদের কখনো সম্পৃক্ততা ছিলনা এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা।
সাম্প্রতিক একটি ফেইক অাইডি প্রতিবাদী কণ্ঠ এ ইউসুফ কবিরের বিরূদ্ধে একটি পোষ্ট দেয়া হয়েছে যেখানে অামাদের শ্রদ্ধাভাজন অাব্বা ও অামাদের পরিবারের মানহানিও মানক্ষুন্ন হয়েছে। যার অামরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুস্হও সুন্দর অাদর্শিক রাজনীতির পরিপন্থী বলে ঘৃণা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য যে, ইউসুফ কবির অামাদের একজন সৎ ভাই এবং অামাদের অাদর্শের সাথে তার ভিন্নতা অাছে। তার কর্মকান্ড, লেনদেন ও চাল-চলন সহ সবকিছু তার একান্ত ব্যক্তিগত ও অামাদের পরিবারের অাদর্শের পরিপন্হী যা অামাদের শ্রদ্ধাভাজন পিতার জীবদ্দশায়ও পারিবারিক বিভিন্ন বৈঠক ও অামাদের গ্রামের জামে মসজিদে স্পষ্ট ভাষায় জু মা’র নামাযের পর অাব্বাজান নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। বর্তমানেও অামাদের পরিবার ইউসুফ কবিরের বিষয়ে শ্রদ্ধাভাজন পিতার ঘোষিত সিদ্ধান্তের উপর অটল অাছে।
অতএব এইচ এম ইউছুফ কবির এর সাথে কারো রাজনৈতিক, অাদর্শিক ও সামাজিক সমস্যা ও বিভেদ থাকলে অামাদের পরিবার কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। অার তার বিষয়ের সাথে অামাদের পরিবার ও মরহুম শ্রদ্ধাভাজন অাব্বার সংশ্লিষ্টতা এনে মানক্ষুন্ন হলে অামরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সমুচিত জবাব দিতে দ্বিধাবোধ করবোনা। অার অামাদের পরিবার নিয়ে কারো রাজনীতি করার দূঃসাহস করা কাম্য নয়।
সর্বোপরি সকলকে অাহবান করছি, মুসলিম ও মানুষ হিসেবে চারিত্রিক মাধূর্যতা বজায় রেখে, অাদর্শিক রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক পরিবর্তনে সহায়ক হবেন।
ধন্যবাদান্তে,
মরহুম অাল্লামা মুহাম্মদ ফৌজুল কবির’র পরিবারের পক্ষে-
ইব্রাহিম কবির