ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সাতকানিয়ায় ভাতিজাদের সাথে মারামারি, কিছুক্ষণ পর চাচার মৃত্যু

সাতকানিয়ায় ভাতিজাদের সাথে মারামারি, কিছুক্ষণ পর চাচার মৃত্যু

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় ভাতিজাদের সাথে মারামারির কিছুক্ষণ পর চাচার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আবু তাহের (৫৫)। যৌথ মালিকানাধীন গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়ার মাইজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ভাতিজাদের কিল-ঘুষিতে আবু তাহেরের মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছেন, মারামারির ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর বুকে ব্যাথার কথা বলে তার মৃত্যু হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, আজ বিকালে কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া মাইজ পাড়ার নুরুল আমিন মেম্বারের বাড়ির আবু ছিদ্দিকের পুত্র মো. জোবায়ের যৌথ মালিকানাধীন একটি গাছ থেকে আম পাড়ে।

বিষয়টি জানার পর তার চাচা আবু তাহের তাকে গালি দেয়। তখন জোবায়েরের বড় ভাই মো. জুনায়েদ ও তার বাবা আবু ছিদ্দিক প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আবু তাহেরের সাথে তার ভাতিজা জুনায়েদ ও মোরশেদের হাতাহাতি হয়। এসময় জুনায়েদ ও মোরশেদ তাদের চাচা আবু তাহেরকে কিল-ঘুষি মারেন।

পরে উপস্থিত লোকজন দুই পক্ষের ঝগড়া থামিয়ে দিলে তারা যে যার বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে, কিছুক্ষণ পর আবু তাহের বুকে ব্যাথা লাগার কথা বলে হঠাৎ ঢলে মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে মো. রাকিব উদ্দিন বলেন, “আমি সকাল থেকে ২নং ব্রিজ এলাকায় বোনের বাসায় ছিলাম। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাবা আমাকে ফোন করে ইফতারের পরে বাড়িতে আসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর অন্য একজন ফোন করে আমাকে জানান, আমার চাচাতো ভাই জুনায়েদ ও মোরশেদ কিল-ঘুষি মারতে মারতে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। তখন আমি বাড়িতে ছুটে আসি।”

নিহতের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, “গাছের আম পাড়া নিয়ে আমার ভাতিজা জুনায়েদ ও মোরশেদের সাথে তাহেরের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তখন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ঝগড়া থামিয়ে দিয়ে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিই। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম বুকে ব্যাথা লাগার কথা বলে তাহের মাটিতে ঢলে পড়ে। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মনে হচ্ছে স্ট্রোক করে মারা গেছে কারণ মারা যাওয়ার মতো মারামারির ঘটনা হয়নি।”

কেরানীহাট আশশেফা হাসপাতালের ডা. মো. জাহেদ হোসাইন জানান, আবু তাহেরকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তার মুখ দিয়ে হালকা রক্ত দেখা গেছে। তবে শরীরের অন্য কোথাও কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই যেহেতু রোগী মারা গেছে ফলে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের স্বজন ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলেছি। সবার কথা শুনে জানতে পারলাম ঝগড়া হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর ঘরের ভেতর বুকে ব্যাথা অনুভব করার কথা বলে ঢলে পড়েন আবু তাহের। তখন লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।” আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!