Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলা, বিদেশি নাগরিকসহ নিহত ১১

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলা, বিদেশি নাগরিকসহ নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেক্স : কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ‘আত্মঘাতী’ হামলায় শিশু ও বিদেশি নাগরিকসহ ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। এই বিস্ফোরণে তালেবানের কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে  আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি টুইটারে জানিয়েছেন। ওই গেটসহ কাবুল বিমানবন্দরের তিনটি গেটে  হামলা চালানো হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।  ওই গেটে ‘আত্মঘাতী’ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা।

সেখানে অন্তত দুইটি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এদিকে বিস্ফোরণে কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিবিসি সংবাদদাতা জনাথান বিইল জানিয়েছেন, প্রথম হামলার পর দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তখন তাকে কাবুল বিমানবন্দরের এই হামলা সম্পর্কে খবর দেওয়া হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এই ঘটনার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি বৈঠক করতে যাচ্ছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভয়াবহ’ হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হ্যাপির আশঙ্কা প্রকাশের পরই এ হামলার খবর সামনে এলো।  

এদিকে বুধবারই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। ওই নির্দেশনায় কাবুল বিমানবন্দরের আশেপাশে অবস্থানরত সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যনন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়েছিল।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। সেখানে পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন সেনাকে সহায়তা করছে এক হাজারের বেশি ব্রিটিশ সেনা। 

অন্যদিকে, বিমানে বন্দরে যাওয়ার পথেও মানুষ হামলার শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)।

এদিকে, কাবুল থেকে কবে শেষ ব্রিটিশ বিমান ছেড়ে যাবে সে ব্যাপারে কিছু জানাননি হ্যাপি।  তবে শেষ মার্কিন বিমান আফগানিস্তান ছাড়ার আগেই যুক্তরাজ্যসহ সব বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, তালেবানদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ৩১ আগস্টের আগেই সব মার্কিন নাগরিক ও সেনা সদস্যদের কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!