এলনিউজ২৪ডটকম : বিজয় মেলার নামে অনুমতি নিয়ে লটারির নামে জুয়ার টিকেট বিক্রি ও পর্দার আড়ালে ভিন্ন ভিন্ন জুয়ার আসর চললেও দেখার যেন কেউ নেই! গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে লোহাগাড়া উপজেলা ও থানা প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এসব কার্যক্রম। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রতিদিনের ড্র নামের লটারির ২০/৩০ টা সিএনজি চালিত ট্যাক্সি ও ব্যাটারী চালিত রিক্সা যোগে মাইকিং করে অবাধে বিচরণ করছে পুরো লোহাগাড়ায়। এতে করে আর্থিক সর্বশান্ত হচ্ছে লোহাগাড়ার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। মাইকিং’র শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ লোহাগাড়াবাসী।
এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, মাইকিং’র শব্দে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতো শব্দে ক্রেতাদের সাথে ঠিকমতো কথাবার্তা বলতে পারছেন না। এক জনের কথা অন্যজন বুঝতে পারছেনা।
প্রতিদিন লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশন, পদুয়া, চরম্বা, চুনতি, কলাউজান, পুটিবিলা, আমিরাবাদ, আধুনগর ও বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ষ্টেশনসহ পাড়া মহল্লায়ও ঢুকে যাচ্ছে লটারির গাড়ি। এইসব লটারিতে তরুণ, মহিলা থেকে বেশি ঝুঁকছে দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষ।
প্রতি টিকেট বাবদ নিচ্ছে ২০ টাকা করে। প্রতিদিন উপজেলার অলি-গলি ও ষ্টেশনে ঘুরে বেড়ালেও এইসব বিষয়ে যেন কারো নজর নেই! কি জনপ্রতিনিধি, কি! প্রশাসন! এই সব জুয়ার গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সচেতন মহল র্উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
অপরদিকে, লোহাগাড়ায় স্মৃতিচরণ বিহীন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলায় প্রকাশ্যে লটারী ও জুয়া খেলা বন্ধের আবেদন জানিয়ে গত ৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হেফাজত উল্লাহ সিকদার।
গত ১৫ জানুয়ারী লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সরেজমিনে তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রঞ্জন দাশ দে।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্দেশ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।