
নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় দুই বন্ধু মিলে মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস।
আসামিরা হলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরী পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ(২০) এবং একই ইউনিয়নের কোনার পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান(১৯)। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে শয্যাশায়ী, মা ভিক্ষাবৃত্তি করেই পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, “গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাদ্রাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীটি বাড়ি থেকে বের হয়ে ‘উঠনি’ নামক এলাকার জনৈক ফরিদের দোকানে নাস্তা কিনতে যায়। নাস্তা কিনে ফেরার পথে স্থানীয় দুই যুবক (পরস্পর বন্ধু) জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এক পরিত্যক্ত ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে মেয়েটিকে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দেয়।” তিনি জানান, মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বলেন, “স্থানীয়রা আমার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করার পর ঘটনার দিন রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। পরদিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি নিয়ে আসি।”
তিনি বলেন, “আমি ও আমার দুই মেয়ে প্রতিবন্ধী। স্বাভাবিক থাকা মেয়েটি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী। আমি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসারের হাল টানছি।” আজাদী অনলাইন