আস্সালামুআলাইকুম। কেমন আছেন আমার প্রানপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসি? দীর্ঘ পনের দিন আপনাদের থেকে দুরে ছিলাম। বিদেশে গেলেই সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারা যায় দেশের প্রতি মায়া মমতা। রাব্বুল ইজ্জতের কাছে সব সময় দোয়া করি আলেম-উলামা, পীর আউলিয়া বেষ্টিত সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার প্রতিটি ভাইবোনদের উপর যেন সব সময় আল্লাহ তায়ালার রহমত ও বরকত বর্ষিত হতে থাকে।
এই মাসটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে খুবই গুরুত্ববহ মাস। এই মাসের ১৫ আগষ্টে স্ব-পরিবারে হারিয়েছি আমাদের জাতির স্থপতিকে।যাদের আত্বত্যাগের বিনিময়ে পূর্ব আকাশে উদিত লালসূ্র্যটিকে আপন করে পেয়েছি আমরা। রাব্বুল আলামীনের দরবারে সেই কালো রাত্রিতে হায়েনাদের নির্মমতায় নিহত শহীদদের আত্বার শান্তির জন্য মাগফেরাত কামনা করছি সেই সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয়ের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে শত আমন্ত্রন পত্র পাওয়ার পরও দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় আমাদের প্রান প্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ছেড়ে কোথাও যাইনি।প্রতিটি আপদে-বিপদে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাঠি ও মানুষের সাথে থাকার চেষ্টা করেছি।শত প্রতিকুলতা থাকার পরও সবার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছি।মমতাময়ী নেত্রীর ভালবাসা ও তুলে দেওয়া নৌকার আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যদা রক্ষায় এমপি মহোদয়ের সাথে আমিও জীবনের স্বর্নালি সময়গুলো নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে সাধারন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে কাটিয়েছি। নিজের ছেলে মেয়ে, নিজের আরাম আয়েশের চেয়ে নেত্রীর ভালবাসা ও সম্মানকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নির্যাতিত নিষ্পেষিত জনগনের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েছি।তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি।সেখানে না ছিল কোন কৃত্রিমতা,না ছিল কোন আন্তরিকতার ঘাটতি।। শুুধুমাত্র বিবেকের তাড়নাবোধ, দেশপ্রেম, কৃতজ্ঞতাবোধ, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্বাও মমতাময়ী নেত্রীর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাধারন মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধই ছিল মুখ্য।সুতরাং এটাই কি আমার অপরাধ??? নারী ওঅসহায় মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখা কি কারো অপরাধ হতে পারে???
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাধারন মানুষের কাছে আমার সেই প্রশ্নটি রইল।পবিত্র হাদিস শরীফে উল্লেখিত আছে-রাসুল সঃ বলেছেন-প্রত্যক মানুষের নিয়তের উপর তার কর্মফল নির্ভর করে।আমার নিয়ত পরিশুদ্ধ ছিল, কোনও দলীয় পোষ্টের জন্য আমি কাজ করিনি।আমার কর্মফলই আমাকে আজ এই সত্যর মুখামুখি দাড় করিয়েছে। সত্যকে স্বীকার না করে সে সব জ্ঞানপাপী যারা আজ আমাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য বলছি অসহায় মানুষের সেবা করতে গিয়ে মমতাময়ী জননেত্রীর ভালবাসার মুল্য দিতে গিয়ে আমাকে যদি অপরাধীর কাঠগড়ায় দাড়াতে হয় আমি দাড়াতে প্রস্তুত কারন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সামনে জীবন্ত মডেল,মজলুম মানুষের আস্থা ও বিস্বাসের শেষ ঠিকানা।
জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি যারা করবে তাদের এসব গুনাবলীর ধারক ও বাহক হতে হবে। রাজনীতি কোন নোংরামি করার খোলা ময়দান নয়।মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শেরও জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির কথা বলে যারা নিজেকে অন্যর বিরুদ্বে মিথ্যাচার ও অন্যরএকান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে মাঠ গরম করার ব্যর্থ অপপ্রয়াস চালায় তারা কোন শ্রেনীর রাজনীতিবিদ তা সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ ভাল করেই চিনে এবং সময়েই বলে দিবে ইতিহাসের আস্থাকুড়ে কারা নিক্ষেপ হবে।খন্দকার মোশতাক দলের বাহিরের কোন লোক ছিলনা এবং এই ঘৃনিত প্রজাতিরদের স্থান কোথায় হয়েছে এটা সবারই জানা কথা।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত অতি উৎসাহী এই সব খন্দকার মোশতাকেরা দলের সম্মান প্রশ্নবিদ্ব করেছে। টাকার বিনিময়ে নৌকাকে ভুল মানুষের হাতে কিংবা ডুবিয়ে দিতে ও কার্পন্য করেনি। এমন খইফোটা রাজনীতিবিদের অভাব নেই আমাদের সমাজে।নিজেদের বগলের দূর্গন্ধে যারা ঘুমাতে পারেনা তারা আবার অন্যর বগল পরিস্কারের জন্য খুর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে শুনতে হাস্যকর ঠেকলেও এই প্রজাতির লোকদের সাথে সবারই কম বেশী পরিচয় আছে।
যাইহোক প্রানপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়াবাসী অনেক অপ্রিয় সত্য কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। কথাগুলো অনেকের কাছে ভাল লাগতে ও পারে আবার খারাপ ও। বাস্তবতার নিরিখে কিছু না লিখলেও নয় তবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি প্রত্যাশা করে বিদায় নিচ্ছি।দীর্ঘ পনের দিন ব্যাক্তিগত সফরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছি। আগষ্ট মাসের সম্মানার্থে কোন ছবি পোষ্ট করিনি। ছেলে মেয়েদের ভিসা জটিলতা ও ভ্যাকেসন সমস্যার কারনে নিহায়েত অনিচ্ছা সত্বে আগষ্ট মাসে সফর করতে হয়েছে। সফরে থাকলেও এমপি মহোদয় নেতাকর্মি সবার সাথে যোগাযোগ রেখেছে এবং আগষ্টের প্রোগ্রাম পালনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সহ সার্বিক সহযোগিতা করেছে। যদিওবা অনেকে এটা নিয়ে কুৎসিত রাজনীতিতে মেতে উঠেছে ইনশআল্লাহ মাসের বাকী দিন গুলো শোকের ভাবগম্ভীর পরিবেশে দলীয় নেতাকর্মিদের নিয়ে পালনে এমপি মহোদয়ের পাশে থাকবেন এই কামনায়…….জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।
-রিজিয়া রেজা চৌধুরী
সদস্য- বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
নির্বাহী পরিচালক- আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন
সভাপতি- লোহাগাড়া উপজেলা সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ কমিটি