নিউজ ডেক্স : এ নগরের সেরা সুইমিং পুলটি তৈরি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১ দশমিক ৩০ একর জায়গার ওপর ১৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় সুইমিং কমপ্লেক্সটি নির্মিত হয়েছে।৮ লেনের ৫০ মিটার দীর্ঘ এ সুইমিং পুল ১ দশমিক ৩৫ মিটার থেকে ৪ দশমিক ১০ মিটার গভীর।
পাশে রয়েছে ২৫ মিটার দীর্ঘ লার্নার্স পুল, যার গভীরতা দশমিক ৬ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২০ মিটার। দোতলায় রয়েছে ৪০০ আসনের গ্যালারি। নারী ও পুরুষদের জন্য ৮টি করে শাওয়ার রুম রয়েছে। রয়েছে ফুড কর্নার, জ্যাকুজি, মেল সাওনা রুম, নারী ও পুরুষদের স্টিম রুম, ফিটনেস সেন্টার, ট্রেনিং রুম।
এ সুইমিং পুল নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ছিল ঢাকার লালমাটিয়ার ডিজাইন সোর্স। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কিউএইচএমসিএল-সিএসএল (জেভি) সুইমিং কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করেছে। সুইমিং পুলের পাশেই রয়েছে ১ দশমিক ২৫ একর জায়গার ওপর টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড। এ দুইটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
চট্টগ্রামের আদি সুইমিং পুল হোটেল আগ্রাবাদে। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সুইমিং পুল নির্মাণ করে পাঁচলাইশের জাতিসংঘ পার্কে। আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল তৈরি করেছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। চট্টগ্রামের একমাত্র পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে রয়েছে আরেকটি সুইমিং পুল।
রোববার (২ জানুয়ারি) বন্দর সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর সব ক্ষেত্র বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে এ ধরনের একটিভিটিসগুলো তাই প্রমাণ করে। এখানে শিক্ষার্থীরা এসেছে, শিক্ষকমণ্ডলীও এসেছেন। আমার মনে হয় লেখাপড়ার পাশাপাশি সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড আমাদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি একজন ক্রীড়া অনুরাগী মানুষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি একজন খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি ঢাকা প্রথম বিভাগে ফুটবল খেলেছেন। তাঁর ছেলে শেখ কামাল সংগঠক ছিলেন, খেলোয়াড় ছিলেন। একজন সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। যখনি আমাদের ছেলেরা ক্রীড়াঙ্গনে ভালো করে তখন তাঁকে গ্যালারিতে ধরে রাখা যায় না, তিনি মাঠে ছুটে যান।
এ রকম রাজনীতিক পরিবার পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যে রাজনৈতিক পরিবারটি আছে সেটি বঙ্গবন্ধুর পরিবার। এমন কোনো একটিভিটিস নেই যেখানে তাঁদের হাতের ছোঁয়া নেই। সত্যিই আমরা খুব গর্বিত আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তার উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা। কিন্তু বাংলার মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছেন, তিনিও আপন করে নিয়েছেন। আজকের বাংলাদেশ সেটাই প্রমাণ করে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশের দায়িত্ব তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) নিতে হবে। আমি মনে করি, সেভাবেই সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। যে উন্নত দেশের স্বপ্ন ত্রিশ লাখ শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছিলেন। আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। নতুন বছরে সেই প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাব।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম। -বাংলানিউজ