নিউজ ডেক্স : রামপুরা ব্রিজ থেকে নেমেই ট্রাফিক পুলিশের সিগন্যাল। সেখানে জরুরি রপ্তানি পণ্যবাহী একটি ট্রাক থামালেন শিক্ষানবিশ নারী সার্জেন্ট পান্না আক্তার। ট্রাকে বাম্পার থাকায় একটি মামলা টুকলেন। তবে সার্জেন্টের নিজের ব্যবহৃত স্কুটিতে নেই নম্বর। নম্বরবিহীন মোটরবাইক চালিয়ে কর্তব্য পালনে আসেন তিনি।
পান্না আক্তার যেখানে বসে মামলা লিখেছেন তার সামনে পুলিশের দুটি মোটরবাইক দেখা গেছে। যার কোনোটিতেই নম্বরপ্লেট নেই। একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বড় করে লেখা রয়েছে ‘পুলিশ’। অন্যটি স্কুটি, সার্জেন্ট পান্না আক্তার নিজেই এটি ব্যবহার করেন। এটাতেও নম্বর নেই, শুধু ইঞ্জিন নম্বর নম্বরপ্লেটের জায়গায় লেখা রয়েছে।
জরুরি রপ্তানি পণ্যবাহী ওই ট্রাকের মালিক হাসান মাহমুদ জানান, নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় তার লক্ষাধিক টাকার জরুরি শিপমেন্ট শিডিউল বাতিল হয়েছে।
বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সামান্য বাম্পারের কারণে মামলা দেওয়া হয়েছে, কালক্ষেপণ করা হলো। অথচ মামলাকারী পুলিশের নিজের গাড়িরই নম্বর নেই! যেখানে বসে সার্জেন্ট মামলা দিলেন সেখানে পুলিশের দুটি মোটরসাইকেলই নম্বরপ্লেট ছাড়া।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) প্রবীর কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে যে গাড়িগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সম্ভবত এখনও আসেনি।
সাধারণ মানুষ এরকম ক্ষেত্রে গাড়ি ব্যবহার করলে মামলা দেওয়া হয় কিন্তু পুলিশের জন্য কী বিধান জানতে চাইলে ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) প্রবীর কুমার রায় বলেন, এই গাড়িগুলো ডিএমপি থেকেই দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির সদস্যরা কর্তব্য পালনে গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন। নম্বর আন্ডার প্রসেসে আছে। এটা সরকারি মাল। নম্বর এখনও পায়নি।
তবে বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ডিএমপিকে এরকম নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল ব্যবহারে কোনো অনুমোদন দেওয়ার কথা তার জানা নেই। নম্বরপ্লেটের জায়গায় কেউ যদি পুলিশ, সাংবাদিক অথবা আইনজীবী লিখে চলে তবে তা আইনভঙ্গ এবং অপরাধ।
বিআরটিএ-এর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) এ ব্যাপারে বলেন, পুলিশের জন্য এক আইন আর সাধারণের জন্য আলাদা আইন নয়। কোনো পুলিশ সদস্য তিনি ডিএমপির হোক আর কোনো জেলা পুলিশের হোক, নম্বরপ্লেটের জায়গায় পুলিশ লিখে চলতে পারবেন না। যদি চলেন সেটি অবৈধ ও আইনবিরোধী। -বাংলানিউজ