ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | র‌্যাবের অভিযানে আটক ১৩ জলদস্যু, অস্ত্র উদ্ধার

র‌্যাবের অভিযানে আটক ১৩ জলদস্যু, অস্ত্র উদ্ধার

নিউজ ডেক্স : বাঁশখালী ও কক্সবাজারের পেকুয়া কুতুবদিয়া থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়ারসহ জলদস্যু বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের আরও ১১ সহযোগীকেও আটক করা হয়।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) চান্দগাঁও র‌্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। র‌্যাব বলছে, জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করা এবং মুক্তিপন না পেলে জেলেদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো এ বাহিনী।  

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২১ জানুয়ারি   চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যূ নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান,  মো. মামুনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকায় থেকে জলদস্যু বাহিনী কবীরের আস্তানা অভিযান চালানো হয়। এসময় ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪ টি কার্তুজ, ৫টি ক্রিজ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি হাসুয়া জব্দ করা হয়।  

তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জন জেলে মাছ ধরার জন্য সাগরে গেলে জলদস্যু কবির বাহিনীর কবলে পড়ে। মাছ ধরার বোটসহ তাদেরকে অপহরন করে কবির বাহিনী। এরপর জেলেদেরকে জিম্মি করে মারধর করে ও নির্যাতন চালায়। বোট মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। পরবর্তীতে মালিক ২ লাখ টাকা দিলে জেলেদের ধরা ২ হাজার ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায়।  

‘জেলেদের জিম্মি করার তথ্যটি র‌্যাব-৮ জানতে পারে। পরে আমরা সম্মিলিতভাবে সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের অভিযানের কথা জানতে পেরে ১৭ জানুয়ারি জলদস্যুরা ১৬ জনকে ছেড়ে দেয়। তারা তীরে আসার পর আনোয়ার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারি। তারাই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জলদস্যুদের আটক করা হয়। ’ -বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!