ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | মারা যাওয়ার ১২ বছর পর দিয়ে গেলেন ভোট!

মারা যাওয়ার ১২ বছর পর দিয়ে গেলেন ভোট!

নিউজ ডেক্স : পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভেলোয়ার পাড়ার কামাল হোসেনের স্ত্রী কহিনুর আক্তার মারা গেছেন ২০০৯ সালে। কিন্তু ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যান তিনি। শুধু তিনি নন একই ওয়ার্ডের ফকির পাড়ার ইদ্রিছ মিয়ার স্ত্রী মৃত রেহেনা বেগমও প্রয়োগ করেছেন নিজের ভোটাধিকার! তাছাড়া বিদেশে বসেও ভোট দিয়েছেন অনেকেই। ঘটনাগুলো ঘটেছে পেকুয়া উপজেলায় গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষিত ফলাফল মেনে নিতে না পেরে এসব অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন এক প্রার্থী। আর তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ওয়ার্ডের ফলাফল ও নির্বাচন পরবর্তী সব পদক্ষেপ স্থগিত করে হাইকোর্ট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উজানটিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষিত ফলাফল স্থগিত ও ভোট পুনঃগণনার আবেদন করে গত ২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেন ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক সিকদার। তিনি তালা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোট বেঞ্চ ওই ওয়ার্ডের ফলাফলসহ পরবর্তী সব নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি কেন ভোট পুনঃগণনা করা হবে না সে বিষয়ে রুল জারি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটকারী সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক সিকদার জানান, আমার ওয়ার্ডে আমরা ৩ জন প্রার্থী থাকলেও ভোটে নানা অনিয়মের মাধ্যমে কৌশলে আমাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে প্রদত্ত ফলাফল সিটে আমার প্রাপ্ত ভোট প্রথমে লেখা হয় ৪৪৪ ভোট। কিন্তু পরবর্তীতে তা কেটে দেয়া হয় ৪২৪ ভোট এবং আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জমির উদ্দিনকে (ফুটবল) ৪৪৪ ভোট দিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক উল্লেখ থাকলেও আমার নামের পাশে প্রতীক পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া মৃত ব্যক্তি, বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিও ভোট দেয়ার প্রমাণ রয়েছে আমার হাতে। এ বিষয়ে প্রথমে রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ আমাদের হাতে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে আমাদের আইন শাখার পরামর্শ অনুযায়ী ওই ওয়ার্ডের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। -আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!