ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বাংলাদেশ-মিয়ানমার চার লেন মৈত্রী সড়ক এখন দৃশ্যমান

বাংলাদেশ-মিয়ানমার চার লেন মৈত্রী সড়ক এখন দৃশ্যমান

Ukhia

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশ-মিয়ানমার চার লেন মৈত্রী সড়ক ক্রমে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। বহুল প্রতীক্ষিত এ সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সড়কটি নির্মাণ হলে অর্থনৈতিক করিডোরের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত দুই দেশের মধ্যকার মৈত্রী সড়কটি আগামী বছরের শুরুর দিকে উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে বাংলাদেশ অংশে সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পথে হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা উভয় দেশের মধ্যে চালু করা নিয়ে সংশয় কাটছে না। প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্য ছিল। এর মধ্যে ২৫০ মিটার মিয়ানমার অংশে এবং বাকি এক হাজার ৭০০ মিটার বাংলাদেশ অংশে। বাংলাদেশ অংশের এক হাজার ৭০০ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

জানা গেছে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার বা বিসিআইএম এর মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর বিনির্মাণে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে বাংলাদেশ এ চার দেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপনের কথা বলে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ২০১৫ সাল থেকে বিসিআইএম এর অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চার লেনের মৈত্রী সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এ মৈত্রী সড়কটির নির্মাণ কাজ অনেকটা এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশন-এসডাব্লিউও এস এ অধীন কক্সবাজার-১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটলিয়ান-ইসিবি এ সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। উখিয়ার বালুখালী থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের জিরো লাইন পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক বা বর্ডার রোড নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশের ঘুমধুম ও মিয়ানমারের তুমব্রু ঢেকিবনিয়ার এলাকার ভূমি কাঠামো প্রায় একই ধরনের।

প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার রোড নির্মানে প্রায় ১২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তিন লক্ষ ঘনমিটার মাটি ও দেড় লক্ষ ঘনমিটার বালি ভরাটের প্রাক্কলন রয়েছে। দুই কি. মিটার ফেক্রিবল পেভমেট নির্মাণের মধ্যে উভয় দেশের সীমানা তুমব্রু খাল পর্যন্ত প্রায় ১শ মিটার কাজ বাকি রয়েছে। উভয় দেশের জিরো লাইন বিভেদকারী তুমব্রু খালের উপর ৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজও বাকি রয়েছে। ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের চারটি কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রায় ১২২মিটার সাইড ড্রেন নির্মাণ, ৪০ মিটার আরসিসি রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ, ৫৪ মিটার ব্রিক মেশনারি রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ কাজও সম্পন্নের দিকে।

উল্লেখ্য সড়কটি প্রাক্কলনের প্রথম দিকে দুই লেনের ডিজাইন করা হলেও পরে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও নির্দেশে এটি সংশোধন করে চার লেনে উন্নীত করা হয়। চার লেনের দু’পাশে সার্ভিস লেন, ফুটপাতসহ হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আধুনিক ডিজাইনের সড়কটি অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ও সময়ও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। কঙবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সড়কটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন নির্মাণ ও তদারক করছে। এখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তেমন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি জানান।

সূত্র : দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!