Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে চার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে চার ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বাঁশখালীর শীলকূপ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে

নিউজ ডেক্স : বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে চারটি ইউনিয়নের পাঁচটি নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের লবণাক্ত পানি গ্রামের ধানী ও ফসলী জমিতে প্রবেশ করায় তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে কৃষক ও সাধারণ জনগণ।

বিগত কয়দিন থেকে জোয়ারের পানি প্রতিদিন সকালে একবার এবং রাতে জলকদর খাল হয়ে এবং বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবেশ করায় কয়েকস্থানে ধানী জমির সাথে প্রকল্পের মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, অমাবস্যার ফলে সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের আবাহালী ও ৬০ নম্বর পাড়া, খানখানাবাদ ইউনিয়নের সুন্দপি পাড়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে অপরদিকে জলকদর খাল হয়ে শেখেরখীল ইউনিয়নের ৩নং ও ৯নং ওয়ার্ডের কয়েক জায়গায় প্রবেশ করে বলে জানান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন।

এছাড়া শীলকূপ ইউনিয়নের হেড পাড়া এলাকার বেশ কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কাঁচা বাড়িঘরের মৎস্য প্রকল্পের এর ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।।

এদিকে শেখেরখীল ইউনিয়নের গোদার পাড়ে বাঁধের রাস্তা সংস্কার করতে গর্ত খোঁড়া হয় দুই সপ্তাহ আগে। এতে বাঁধহীন হয়ে পড়ে প্রায় দুইশ’ মিটার অংশ। নিচু হয়ে যাওয়ায় এই অংশের গোবিন্দ খাল দিয়ে ঢুকছে জোয়ারের লবণাক্ত পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই এলাকার জনসাধারণ।

ছনুয়া ইউনিয়নে জলকদর খালের বাঁধ উচু না থাকায় আবাখালী ও ষাট নম্বর পাড়ায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে। এতে প্রায় একশ’ পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। খানখানাবাদ ইউনিয়নের সুন্দপি পাড়ায় শঙ্খ নদী থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হাফেজ।

বাঁশখালীতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে শেখেরখীল দিয়ে

শীলকূপ ইউপি সদস্য সিদ্দিক আকবর বাহাদুর বলেন, “বাজারের পশ্চিমে ডাকবাংলো সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার মানুষের চলাচল হয়। আজকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় আমার এলাকাটি। জোয়ারের পানি প্রবেশ ঠেকাতে না পারলে এতে মনকিরচর নতুন বাজার, শীলকূপ ইউনিয়ন পরিষদ, বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, স্থানীয় মসজিদ সহ অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে।”

বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে জোয়ারের পানি প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, “যেসব অংশে জোয়ারের পানি ঢুকছে সেই সব অংশ সংস্কারের জন্য জরুরিভাবে বরাদ্দ চাওয়া হবে।” বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে জানান তিনি। দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!