Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | পেঁয়াজ নিয়ে এখনও অস্বস্তি কাটেনি ক্রেতাদের

পেঁয়াজ নিয়ে এখনও অস্বস্তি কাটেনি ক্রেতাদের

bg20170219170707

নিউজ ডেক্স : বাজারে দেশীয় নতুন পেঁয়াজের যোগান বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য ৮৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৭০০ ডলার করা হলেও পেঁয়াজ নিয়ে এখনও অস্বস্তি কাটেনি ক্রেতাদের। খুচরা বাজারে এখনও কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে পেঁয়াজ নিয়ে ভোক্তাসাধারণের এ অস্বস্তি খুব শীঘ্রই কাটার কথা নয়।

খাতুনগঞ্জের বেশ কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দিনাজপুরসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলের উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ কিছু কিছু পরিমাণে বাজারে আসলেও দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মূলত ভারতীয় পেঁয়াজ। কারণ নতুন পেঁয়াজগুলো বেশ কাঁচা হওয়ায় ওগুলো দুই-চারদিনের বেশি সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। ফলে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু সেই ভারতীয় পেঁয়াজেই। সঙ্গত কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে আগের চেয়ে টনপ্রতি ১৫০ ডলার কমলে এর একটা ইতিবাচক প্রভাব দেশের বাজারে পড়ার কথা। কিন’ বাস্তবে এর প্রভাব পড়েছে খুব সামান্যই। খুচরা বাজারে কেজিতে কমেছে মাত্র ৫ টাকা। পূর্বের ৬৫ টাকা দামের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এর কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা পরিবহন খরচকেই দায়ী করছেন।

গোলাম রসুল নামের একজন আমদানিকারক বললেন, সীমান্তবর্তী বাজারগুলো থেকে সড়ক পথে আগে যে ভাড়ায় ২০ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আনা যেত বর্তমানে সেই একই ভাড়ায় পেঁয়াজ আনা যায় সর্বোচ্চ ১৪ টন। এতে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণে আমদানিকারকদের বাড়তি পরিবহন খরচের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়।

অন্যদিকে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ-রসুনের পাইকারি বিক্রেতা ‘গ্রামীণ বাণিজ্যালয়’র ব্যবস’াপক রাজেশ্বর দাশ রাজু সুপ্রভাতকে বললেন, এখন বাজারে অল্প পরিসরে নতুন পেঁয়াজ আসলেও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তবে তাতে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামের খুব একটা হেরফের হবে বলে মনে হয় না। কারণ ভোক্তাসাধারণ বিশেষত চট্টগ্রামের ভোক্তা শ্রেণী সহজে নতুন পেঁয়াজ কিনতে চায় না। ফলে নতুন পেঁয়াজ আসলেও খুব শীঘ্রই পেঁয়াজের বাজারে ইতিবাচক কোন পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। -সুপ্রভাত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!