Home | উন্মুক্ত পাতা | দয়া করে যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক করবেন না

দয়া করে যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক করবেন না

masuda-20180410135537

মাসুদা ভাট্টি : দেশের তরুণ সমাজ যদি ভবিষ্যৎ হয়ে থাকে তবে এই ভবিষ্যৎ নিয়ে বলবার মতো অনেক কথাই আছে। বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলন এবং এই আন্দোলনে তরুণ ছাত্রদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা-পরবর্তী ঘটনাবলী বিশদ আলোচনার দাবি রাখে। কোটা নিয়ে যে হিসাবটি বার বার দেখানো হচ্ছে তাতে বেশ গরমিল আছে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা, নারী, জেলা ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটি গরমিলের হিসাব দেখিয়ে বলা হচ্ছে যে, মাত্র সামান্য (?) সংখ্যক মানুষের জন্য প্রায় অর্ধেকেরও বেশি চাকুরি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

টক শো কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবার আগে আক্রমণ করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ৩০% বরাদ্দ নিয়ে। মাত্র দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য কেন ৩০% কোটা থাকবে সে প্রশ্নতো তোলা হয়েছেই এবং সেই সঙ্গে তাদের নাতি-পুতিরা কেন এই সুযোগ পাবে সে প্রশ্ন নিয়ে দেখছি রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশেষ করে বিএনপি’র পক্ষ থেকে জোর প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

 “কোটা বিরোধী আন্দোলনটি আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের যে উদ্যোগ সকল পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখানো প্রয়োজন এবং সেটা সকল পক্ষ থেকেই”

এদেশে মুক্তিযোদ্ধারা যে সত্যিকার অর্থেই অবহেলিত মানুষ তা বোঝা গিয়েছে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর। হঠাৎ করেই তারা নিজেদেরকে সমাজ থেকে, রাষ্ট্র থেকে লুকোতে শুরু করেছিলেন। কারণ কোথাও যদি ভুলেও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করতেন তাহলে তার মূল্য দিতে হতো অবহেলা কিংবা আক্রমণের শিকার হয়ে। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দেশে এই অনাচার চলেছে। ১৯৭২ সালে যে কোটা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত করে গিয়েছিলেন তা বাতিলতো হয়েইছিল, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রে তারা পদে পদে লাঞ্ছিতও হয়েছেন। তাদের এই দুঃসময় নিয়ে দু’একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে কেবল কিন্তু সমাজদেহে মুক্তিযোদ্ধাদের এই অবহেলা পুরোই অনুল্লেখ্য থেকে গেছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় পছন্দের মানুষকে সংযোজন ও বিয়োজন এই দীর্ঘ সময় ধরে দেদারছে চলেছে।

১৯৯৬ সালে এসে যখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধারা মূল্যায়িত হতে শুরু করলেন, রাষ্ট্র যখন তাদের ভাতা প্রদান থেকে শুরু করে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ততোদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধারা ততোদিনে চাকরিতে আবেদনের বয়সও হারিয়েছেন। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ ছেলেমেয়েরা পর্যন্ত সে সুযোগ বঞ্চিত হয়েছে। নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র স্বাভাবিক ভাবে যেভাবে তাদেরকে মূল্যায়ন করা বা পুরষ্কৃত করার কথা ছিল তাতো হয়ইনি, আগেই বলেছি যে, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টা পর্যন্ত অনেকের জন্য বিষময় হয়ে উঠেছিল।

অনেকেই এই বিষযন্ত্রণা নিয়েই পৃথিবী ত্যাগ করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্র যখন আবার তাদেরকে একটু মূল্যায়ন করতে শুরু করে, চালু করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সামান্য কিছু সুবিধাদি তখন এই তালিকায় ঢোকার জন্য যে নতুনতর প্রতিযোগিতা শুরু হয় তাও সরকার ঠেকাতে পারেনি। কারণ বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ, সেই জনযুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ রেকর্ড আমাদের হাতে নেই, দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীতায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে অনেক দলিল-দস্তাবেজ। ফলে বার বার তালিকা প্রণয়নে ভুল ও ত্রুটি থেকেছে কিন্তু সেটা ব্যতিক্রমী কোনো ঘটনা নয়। বিশ্বের যে সকল দেশেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে কিংবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেনা বাহিনীর বাইরে বিভিন্ন প্রতিবাদী/প্রতিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে অংশ নিয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়নেও নানাবিধ অনিয়মের প্রমাণ রয়েছে।

প্রশ্ন হলো, আগে আমাদের এই জায়গায় একমত হতে হবে যে, মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সূর্য সন্তান কি না? তারা কি সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন কি না? রাষ্ট্রের হাতে দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চনার পর তারা বিশেষ কোটাপ্রাপ্ত হয়ে সে বঞ্চনার ক্ষতে একটু প্রলেপ প্রাপ্তির যোগ্য কি না? যে সব মুক্তিযোদ্ধা বঞ্চিত হয়ে পৃথিবী ত্যাগ করেছেন তাদের পরিবারবর্গকে সে সুযোগ দিয়ে জাতীয় পাপমুক্তির বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছি কি না?

লক্ষ্য করে দেখছি যে, ওপরের এই প্রশ্নে মোটা দাগে দ্বি-মত তৈরি হয়েছে। দ্বি-মত ও দ্বিধা বিভক্তি ছিল এদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও। রাষ্ট্র উদ্যোগী হয়ে সে দ্বিধা ও বিভক্তি ঝেড়ে ফেলে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এখন কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যখন নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গকে রাষ্ট্রের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিকে অত্যন্ত কদর্যভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তখন এই প্রশ্নটি সামনে চলে আসে যে, নতুন প্রজন্মের ভেতর তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ইত্যাদির প্রতি কোনো সহজাত সম্মানবোধ তৈরি হয়নি?

প্রশ্নে একথাও আসে যে, তাহলে গণজাগরণ মঞ্চ কী করে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে মাসব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যেতে পেরেছিল? সেটাওতো তরুণদেরই আন্দোলন ছিল। নাকি ব্যক্তির চাহিদার কাছে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বড় বিষয়গুলো খানিকটা হলেও আড়ালে চলে যেতে বাধ্য? যখন দেশের একটি বিশাল শিক্ষিত বেকার শ্রেণি ক্রমাগত লড়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির জন্য এবং রাষ্ট্র তাদেরকে যথাসাধ্য মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে?

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টকশো’র আলোচনা থেকে যতোটুকু বুঝতে পারছি তাতে দেখা যাচ্ছে যে, কোটা ব্যবস্থার অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ৩০%, নারী ১০%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫%, জেলা ১০% এবং প্রতিবন্ধীদের ১%, মোট এই ৫৬%-কে সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসার দাবিতে তরুণদল আন্দোলন করছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুক্তিযোদ্ধাদের এই ৩০% অত্যন্ত বেশি এবং অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন।

নারী-জেলা-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে একত্রিত করলে অবশ্য দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৬০%-৭০% হয়ে যায় এবং সেক্ষেত্রে এই তিন শ্রেণির জন্য ৪৫% কোটা বরাদ্দ থাকাটা খুব বেশি অযৌক্তিক মনে হওয়ার কথা নয়। দেশের নারীরা পিছিয়ে রয়েছে এবং জেলা হিসেবে একেক সময় একেক জেলা ভূ-প্রাকৃতিক বা যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুন্নয়ন ইত্যাদি কারণে পিছিয়ে থাকে এবং তাদেরকে সুযোগ দেওয়ার জন্য বরাদ্দকৃত কোটাকে অস্বীকার করলে অন্যায়ই হবে।

আর ১% প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীতো এতোদিন প্রতিবন্ধী হিসেবে স্বীকৃতিই পায়নি, মাত্র বছর কয়েক হলো তাদের নিয়ে একটু আলোচনা চলছে, সরকার এখন মানতে শুরু করেছে যে এরা এদেশেরই নাগরিক ও এদেরও একটু অধিকার দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু নিজেদের সুস্থ-স্বাভাবিক দাবি করা মানুষগুলো এই প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে কতোটা খারাপ ধারণা পোষণ করে থাকেন তা পথে-ঘাটে বার বার প্রমাণিত হয়, এ নিয়ে নতুন করে বলার মতো কিছুই নেই।

এখন এসব কোটা যৌক্তিক কি অযৌক্তিক তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যাপার রয়েছে। সরকার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলনকারীদের দাবিকে যৌক্তিক ধরে নিয়েই সময় চেয়েছে বিষয়টির একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছার। কিন্তু আলোচনা থেকে বেরুনোর পর পরই যেভাবে আন্দোলনকারীরা আলোচনার টেবিলে নেওয়া সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করার ব্যাপারে বিভক্ত হয়ে গেলো তাতে বুঝতে অসুবিধে রইলো না যে, এই আন্দোলন যদিও তরুণদের কিন্তু এর গতি-প্রকৃতি ঠিক করার বিষয়ে কোনো ‘পাকা খেলুড়ের’ হাত রয়েছে।

তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়া অংশটি কিন্তু সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল তা মেনে নিয়েছিল কিন্তু যে অংশটি (ধরে নিচ্ছি এরাই গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনাকে বাড়াতে চাইছে, এরাই হয়তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবনে হামলা চালিয়েছে, গাড়ি পুড়িয়েছে) আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গিয়ে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের পেছনের ‘রাজনৈতিক অপশক্তিটি’কে খুঁজে বের করা দরকার। কারণ একটি যৌক্তিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে এবং আলোচনায় বসে তা নিরসনের যে পদ্ধতিগত পথে তরুণরা হাঁটছে তাদেরকে সে পথ থেকে সরিয়ে কট্টর ও নৈরাজ্যের দিকে যারা নিতে চাইছেন তারা আসলে এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দিতে চাইছেন। তাতে তরুণদের উপকার হবে কি?

এমনিতেই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই দাবি আদায়ের সাবেকি পথ পরিবর্তিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করার যে ধারা ইতোমধ্যেই প্রবর্তিত হয়েছে এবং তার যে সাফল্য দেশে দেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা হলো এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিয়ে “একটি লাশ” দিয়ে আন্দোলনের মোড় ঘোরানোর যে অপচেষ্টা তা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আবার আন্দোলনকারীদের ঢালাও ভাবে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ গাল দিয়ে কিংবা ছাত্রলীগ এবং পুলিশ দিয়ে তাদেরকে দমন করার প্রচেষ্টাটিও নিন্দনীয়। কোনো দাবি সেটা যৌক্তিক হোক কি অযৌক্তিক হোক, আন্দোলনকারীদের দাবি কর্তৃপক্ষ শুনবে এবং তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দু’পক্ষের আলোচনা চলবে সেটাই যে কোনো স্বাধীন, স্বার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক দেশের রীতি হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ এখন কোনো বিদেশি শক্তির অধীন নয়, এদেশের সম্পদ দেশটির সকল নাগরিকের, তাই আন্দোলনের নামে দেশের সম্পদ বিনষ্ট করা কিংবা অপর নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা কোনো ভাবেই আন্দোলনের অংশ হতে পারে না, হওয়া উচিত নয়। যাদের কাছে দাবি উত্থাপন করবেন তাদেরকে আগে দাবিনামা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনার সুযোগ দিতে হবে। আগেই বলেছি দেশটা স্বাধীন এবং দেশের মালিক আপনিও, মানে যারা আন্দোলন করছেন তাদের কথাই বলছি। ভিসি’র বাসভবনে যে তাণ্ডব চালিয়েছেন, যা ভেঙেছেন তাতে আপনার পরিবারের সদস্যদেরও অবদান রয়েছে। আপনার বাড়ির ফ্রিজটির সঙ্গে ভিসির বাড়ির ফ্রিজটির পার্থক্য কেবল এটি ভিসি ও তার পরিবার ব্যবহার করেন মাত্র।

সবশেষ কথা হলো, কোটা বিরোধী আন্দোলনটি আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের যে উদ্যোগ সকল পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে তার প্রতি সম্মান দেখানো প্রয়োজন এবং সেটা সকল পক্ষ থেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সমাজে নিজেদের বিজ্ঞ বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরাও যখন ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে যান কিংবা সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন যখন পুলিশের সঙ্গে মিলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নামার চেষ্টা করে তখন যৌক্তিক প্রতিবাদও যে অযৌক্তিক হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে সেটা বোঝার মতো অনেক ঘটনাই ইতিহাস ঘাঁটলে তুলে আনা সম্ভব। কোটা বিরোধী আন্দোলনকে তাই মাত্রা ও সমঝোতার ভেতরেই রাখুন, একে মাত্রাতিরিক্ত ও বিরক্তিকর করে তুলবেন না দয়া করে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!