নিউজ ডেক্স : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম বন্দর আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আগামীকাল ১৩১তম বন্দর দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর শিল্প-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নয়, এ অঞ্চলে সভ্যতার ক্রমবিকাশে এ বন্দরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। আওয়ামী লীগ সরকার এ বন্দরকে একটি বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বয়ংক্রিয় কন্টেইনার অপারেশন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সিটিএসএস এবং বন্দরে নিরাপদে জাহাজ যাতায়াত ও বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানকালে জাহাজসমূহকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার জন্য আধুনিক ভিটিএমআইএস চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম ডিজিটাল করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে এ বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশসমূহকে ব্যবহারের সুবিধা প্রদানের জন্য এটিকে আরো আধুনিক ও আকর্ষনীয় বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশের এই অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি তথা বৈদেশিক বাণিজ্য। বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সমুদ্রবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।