Home | উন্মুক্ত পাতা | দৃষ্টি আকর্ষণ ইউএনও : অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বটতলী মোটর ষ্টেশনের ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করা হোক

দৃষ্টি আকর্ষণ ইউএনও : অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বটতলী মোটর ষ্টেশনের ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করা হোক

467

মারুফ খান : দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় লোহাগাড়াও চলছে ভিক্ষুক পুর্নবাসন কার্যক্রম। গত ১৫ আগষ্ট উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ১৭ ভিক্ষুককে পুর্নবাসনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের শুভ সূচনা করা হয়। লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ভিক্ষকুদের পুর্নবাসন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলম ও লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজাহান পিপিএম (বার)। বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। এ সময় ইউএনও জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়নের ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করা হবে। যাদের পুর্নবাসন করা হয়েছে তাদের সবসময় মনিটরিং ও প্রয়োজনবোধে আরো আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

লোহাগাড়ার প্রাণ কেন্দ্র বটতলী মোটর ষ্টেশন। এ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার লোকজন নানা কাজে প্রতিদিন এ ষ্টেশনে আসেন। লোক সমাগম বেশী হওয়ায় এখানে ভিক্ষুকদের উৎপাতও বেশী। কাঁচা বাজার, বাস ষ্ট্যান্ড, হোটেলের সামনে, ব্যাংক-বীমা অফিসের সামনে, মসজিদের সামনেসহ বিভিন্ন স্টপে দাঁড়িয়ে/বাসে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা যায়। এমনকি কিছু ভিক্ষুক মার্কেটের প্রতিটি দোকানে গিয়েও ভিক্ষা করে। সিংহভাগ ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। বেশ কয়েকজন ভিক্ষুককে পুর্নবাসনের কথা বললেও তারা এ পেশা ছাড়তে নারাজ। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। ভিক্ষাবৃত্তি তাদের পেশা ও নেশায় পরিণত হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সাবাজার যাবার পথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গাড়িগুলো বটতলী মোটর ষ্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। ভিক্ষুকদের উৎপাতে পর্যটকরা এক ধরণের অস্বস্তিকর বোধ করেন। এতে লোহাগাড়াবাসীর মান-সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে আমি মনে করছি। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশনের ভিক্ষুকদের পুর্নবাসন করার আবেদন জানাচ্ছি।

ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। এ ব্যাধির বলয় থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। একজন ভিক্ষুককে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরিয়ে আনার কাজটি সহজ নয়। আর্থিক সহযোগিতা দিলে বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিলেও একজন ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়তে নারাজ। একজন ভিক্ষুককে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়িয়ে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরিয়ে আনতে বা পুনর্বাসনে সর্বাগ্রে যা করণীয় তা হলো ভিক্ষুকদের মাঝে মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা ও মানসিক পরিবর্তন আনা। অর্থাত্ একজন ভিক্ষুককে সমাজে তার এবং তার সন্তানদের পরিচিতি ও অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করা। যদি একজন ভিক্ষুককে তার এবং তার ভবিষ্যত্ বংশধরদের সামাজিক মর্যাদা ও অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করা যায় এবং পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় তবে ভিক্ষুকদের সফল পুনর্বাসন সম্ভব।

লেখক : প্রকাশক, lohagaranews24.com

আধুনগরের ১৭ ভিক্ষুককে পুর্নবাসন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!